করোনাভাইরাস: কমেছে চীনের দূষণ

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 01:20:29

করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) বিপর্যস্ত গোটা চীন। করোনার প্রভাবে বিশ্বের সঙ্গে অনেকটা যোগাযোগবিহীন হয়ে পড়েছে এশিয়ার দেশটি। দেশটিতে মারা গেছে ২ হাজার ৮০০ এর বেশি নাগরিক। আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজারেরও অধিক।

করোনার প্রভাবে বন্ধ রয়েছে সবচেয়ে কর্মব্যস্ত দেশটি। বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ কল-কারখানা। মন্দার মুখে পড়েছে চীনের অর্থনীতি। এত খারাপের খবরের মধ্যেও চীনের জন্য একটি ভালো খবর দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। নাসা তাদের স্যাটেলাইট দিয়ে তোলা কয়েকটি ছবি দিয়ে জানিয়েছে, চীনের বায়ু দূষণ নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাদের তোলা ছবিগুলোতে দেখা যায়, অত্যধিক ভাইরাস সংক্রমিত এলাকাগুলোতে ব্যাপকহারে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের স্তর হ্রাস পেয়েছে। করোনার প্রভাবে কল-কারখানা বন্ধ হওয়াকে এর কারণ হিসেবে দেখিয়েছে মহাকাশ সংস্থাটি।

মহাকাশ সংস্থাটির গবেষকরা জানায়, উহানের পর গোটা চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এর জন্য দেশটির কল-কারখানা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে যানবাহনের সংখ্যাও কমেছে। যার প্রেক্ষিতে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে।

নাসা ২০১৯ সালের প্রথম দুই মাসের সঙ্গে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের তুলনা করে দেখিয়েছে।

২০১৯ সালের সঙ্গে চলতি বছরের বায়ুর তুলনা, ছবি: নাসা

চীনা নববর্ষের কথা উল্লেখ করে নাসা জানায়, প্রতি বছর জানুয়ারির শেষের দিকে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে নববর্ষ উদযাপিত হয় এবং এ সময় বায়ু দূষণের মাত্রা কমে যায়। তবে উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দূষণ আগের অবস্থায় ফিরে আসে।

স্পেস সেন্টারটির বায়ু মানের গবেষক ফেই লুই এক বিবৃতিতে জানান, এই প্রথম কোনো কারণে আমি নাটকীয়ভাবে বায়ু দূষণের মাত্রা কমতে দেখেছি। ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও আমি বায়ু দূষণের পরিমাণ কমতে দেখেছি। কিন্তু ওই সময় হয়েছিল ধীর গতিতে। কিন্তু এবার তা খুব দ্রুত গতিতে হয়েছে।

ফেই লুই আরও জানান, এ বছর দূষণের হার বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। দূষণের মাত্রা কমে যাওয়ায় আমি অবাক হয়নি। কারণ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে পুরো চীন জুড়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর