লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় গর্ভপাত বৈধতা করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। গর্ভপাতের বৈধতা করার জন্য তিনি পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাঠাবেন বলে জানা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট পদে বসেন ফার্নান্দেজ। এর আগে তিনি এটিকে জনস্বাস্থ্যের বিষয় হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।
আর্জেন্টিনায় শুধুমাত্র ধর্ষণ ও মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে গর্ভপাত করা যায়। এছাড়া লাতিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশেই এটি অবৈধ। যদি আর্জেন্টিনায় বিলটি পাস হয় তাহলে তারাই হবে অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র যারা গর্ভপাতের অনুমতি দিবে।
ক্ষমতায় আসার পার্লামেন্টে প্রথম ভাষণে ফার্নান্দেজ বলেছিলেন, গর্ভপাত ঘটে, এটি একটি সত্য। একটি রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক বিশেষত নারীদের রক্ষা করা উচিত। একবিংশ শতাব্দীতে এসে প্রত্যেক সমাজের উচিত মানুষের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো। এছাড়া তিনি যৌনশিক্ষার উন্নতির জন্য একটি কর্মসূচি চালু করারও প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
রোমান ক্যাথলিকের দেশটিতে এর আগেও আইনটি পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।
২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস (নিম্নকক্ষে) গর্ভপাত নিয়ে একটি আইন পাস হয়। যেখানে বলা হয়, গর্ভধারণের ১৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করা যাবে। কিন্তু দেশটির সিনেটে (উচ্চকক্ষে) তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।