দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা। আর করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি ও দাম বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি উৎপাদন ৪০ শতাংশ বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে ডব্লিউএইচও।
মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটি থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ডব্লিউএইচও থেকে আরও জানানো হয়, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সার্জিক্যাল মাস্কের দাম ছয়গুণ, এন৯৫ শ্বাসযন্ত্রের দাম তিনগুণ ও সুরক্ষা সুটের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডব্লিউএইচও অনুমান করেছে যে, প্রতি মাসে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ৮৯ মিলিয়ন মুখোশ, ৭৬ মিলিয়ন গ্লাভস এবং ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন গগলসের প্রয়োজন হবে।
এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ বৈশ্বিক মন্দা রোধের জন্য সুদের হার হ্রাস করেছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক করোনায় আক্রান্ত দেশগুলোকে ১২বিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের অর্থনৈতিক মন্দা থামানোর প্রচেষ্টার পরেও মার্কিন শেয়ার বাজারে সূচক ৩ শতাংশ কমেছে। তবে স্বর্ণের দাম আরও ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা স্থানীয়ভাবে করোনা বিস্তার রোধে ৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং নার্স ও ডাক্তারের স্বল্পতার কারণে ৭৭ জন মারা গেছে। যা চীনের বাইরে মৃত্যুর দিক দিয়ে অন্যতম সর্বোচ্চ। এছাড়া করোনা আতঙ্কে আরব আমিরাত তাদের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে ইউরোপের দেশ ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৭৯ জন। আর ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত চতুর্থ ব্যক্তি মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেন, আর্জেন্টিনা ও চিলি করোনায় আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত করা গেছে।
মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও'র প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসাস জানান, সংক্রামিত হওয়া রোগীদের প্রায় ৩.৪ শতাংশ মারা গেছে।
চীনে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরস বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো বিশ্বে ৯১ হাজার আক্রান্তকে শনাক্ত করা গেছে। যার মধ্যে ৮০হাজারের বেশি চীনেই। বিশ্বব্যাপী মারা গেছে তিন হাজারেরও অধিক।