ইদলিবে যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়া-তুরস্কের সম্মতি

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-21 04:47:40

তুরস্ক ও রাশিয়ার দুই নেতা সিরিয়ার ইদলিবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। গত তিন মাসে এই যুদ্ধে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছে।

শুক্রবার (৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বৃহস্পতিবার মস্কোতে আলোচনা শেষে ইদলিবে যুদ্ধ বিরতিতে সম্মতি জ্ঞাপন করে একটি চুক্তি করেছেন।  

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এই চুক্তি সিরিয়ার উত্তরপশ্চিম অংশে চলমান বিদ্রোহে সামরিক অভিযান থামাতে পারবে।

এরদোয়ান জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই এই চুক্তির প্রভাব চোখে পড়বে। “প্রয়োজনে আমরা একসঙ্গে সিরিয়ায় ত্রাণ সরবরাহ করবো”।

তিনি আরো বলেন, সিরিয়ার সীমানায় যেকোন হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার তুরস্কের রয়েছে।

সিরিয়ায় নয় বছর ধরে চলা যুদ্ধে দুই বিপক্ষ শক্তিকে রাশিয়া ও তুরস্ক সমর্থন দিচ্ছে। মস্কো সমর্থন দিচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে এবং তুরস্ক দিচ্ছে বিদ্রোহী দলকে। আগের করা বেশ কয়েকটি চুক্তি ইদলিবের যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।

ইদলিব হচ্ছে বাশার আসাদ বিরোধী বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি। এখানে আসাদ বিরোধী নানা পক্ষের সৈন্য রয়েছে। তন্মধ্যে আল কায়েদা সমর্থক গোষ্ঠী যেমন আছে, তেমনি আছে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী ও কিছু কুর্দি বাহিনী।

অন্যদিকে রাশিয়া ও ইরানের সাহায্য নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ সরকারের সেনাবাহিনী এখন সিরিয়ার প্রায় সব ভূখণ্ড বিদ্রোহীদের হাত থেকে মুক্ত করে ফেলেছে। বাকি আছে শুধু এই ইদলিব। এ কারণে তিনি ডিসেম্বর থেকে ইদলিবে অভিযান শুরু করেছেন। এ অভিযানে ইতোমধ্যে শত শত মানুষ মারা গেছেন।

এদিকে তুরস্কের চাওয়া, ইদলিব প্রদেশের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলগুলোকে নিরাপদ এলাকায় পরিণত করা।

এর কারণ হলো, সিরিয়ার ১০ বছরব্যাপী যুদ্ধের কারণে এত বিপুল সংখ্যক লোক পালিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে যে তুরস্ক এখন বলছে, তাদের আর নতুন অভিবাসী আশ্রয় দেবার জায়গা নেই।

এ সম্পর্কিত আরও খবর