মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ প্লেন নিখোঁজের ৬ বছর পূর্ণ হতে চললো। প্লেনে থাকা ২৩৯ যাত্রীর স্বজনেরা নিখোঁজ প্লেনের খোঁজে প্রশাসনকে আবার চেষ্টা চালাতে বলেছে।
২০১৪ সালের ৮ মার্চ, কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া নিখোঁজ প্লেন এমএইচ৩৭০ বিশ্বের অমীমাংসিত নিখোঁজ প্লেন রহস্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ঘটনা। ২০১৮ সালে এই প্লেনের উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আত্মীয় পরিজনরা ‘কখনো আশা ছেড়ো না’, ‘অপেক্ষায় আছি’, ‘অনুসন্ধান চালু করো’ লেখা চন্দ্রাকৃতি প্রতীক নিয়ে ৬ বছর পূর্তি স্মরণ করে এবং নিখোঁজের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট উত্তরের দাবি জানায়।
প্লেনে থাকা এক নারীর ছেলে আইনজীবী গ্রেস নাথান বলেন, উত্তরের চেয়ে প্রশ্ন বেশি জমা হয়েছে। অথচ ছয় বছর পর এ রকম হওয়া উচিত না।
প্লেনের কোন খোঁজ না পেয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মালয়েশিয়া, চীন এবং অস্ট্রেলিয়া দুই বছর ধরে দক্ষিণ ভারতীয় সাগরে চালানো উদ্ধার অভিযানের ইতি টানে। এতে প্রায় ১৩২.৯০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়।
২০১৮ সালে আমেরিকান সংস্থা ‘ওশান ইনফিনিটি’ এর সঙ্গে মালয়েশিয়া “নো কিওর, নো ফি” চুক্তি করে। অর্থাৎ যদি প্লেনটি উদ্ধার হয় তাহলে সংস্থাটি ৭০ মিলিয়ন ডলার পাবে। কিন্তু ১৩৮ দিনের উদ্ধার অভিযানে কোন ফল হয়নি।
ওশান ইনফিনিটিকে আবার উদ্ধার কাজে যুক্ত করার কথা বলে নাথান জানান, আমরা চাই সরকার এগিয়ে আসুক এবং বলুক এই অভিযান সব কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত।
গত মাসে পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আমরা আগের রিপোর্ট থেকে এমন কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাইনি যার ভিত্তিতে নতুন করে উদ্ধার কাজ শুরু করা যাবে।
বুধবার (৪ মার্চ) রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজাক বলেন, আমরা প্লেনটি খুঁজতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছি কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত খুঁজে পাইনি। তিনি আশা করেন, নতুন সরকার উদ্ধার কাজ পুনরায় শুরু করবে।