রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষমতায় রাখতে দেশটির পার্লামেন্টে সাংবিধানিক সংস্কার অনুমোদন বিল পাস হয়েছে। বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার পার্লামেন্টে তৃতীয় ধাপের আলোচনা ও ভোটাভুটির পর চূড়ান্ত বিলটি পাস হয়।
নিয়ম অনুযায়ী ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন পুতিন। কিন্তু সাংবিধানিক সংস্কারের পর তিনি আরও ১২ বছর প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন।
ক্রেমলিন (প্রেসিডেন্টের বাসভবন) নিয়ন্ত্রিত রাশিয়ার নিম্নকক্ষ (স্টেট ডুমা) সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে ৩৮৩টি ভোট পড়ে। যেখানে এর বিপক্ষে কোনো ভোট পরেনি। তবে পার্লামেন্টের ৪৩ জন সদস্য ভোট দান থেকে বিরত ছিল। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে দেশব্যাপী ২২ এপ্রিল ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ক্রেমলিনের সমালোচকরা এই সংশোধনীর নিন্দা করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভাষণে পুতিন বলেন, প্রেসিডেন্টের মেয়াদের বাধ্যবাধকতা থাকবে না। যখন দেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায় তখন স্থিতিশীলতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে কাজ করা ৬৭ বছর বয়সী পুতিন সর্বশেষ ২০ বছর ধরে দেশটিকে শাসন করে আসছেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুবার করে ক্ষমতায় ও প্রতিবার চারবছর করে থাকতে পারবে। যার প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ছেড়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন পুতিন। ওই সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পুতিনের মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ।
তবে ওই সময় সংবিধান পরিবর্তন করে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ছয় বছরে উত্তীর্ণ করা হয়।
২০১২ সালে ফের ক্রেমলিনের ক্ষমতায় বসেন পুতিন। আর ২০১৮ সালে আবার ক্ষমতা পান পুতিন, যার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। রাশিয়ার জাতীয় ভোটের আগে দেশটির সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়টি দেশটির সাংবিধানিক আদালত দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়।
সংবিধানের এই পরিবর্তনগুলো মস্কোর প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও জোরদার করবে। এছাড়া সংবিধানের পরিবর্তনের ফলে একই লিঙ্গের মানুষদের বিয়ে ও স্রষ্টার ওপর বিশ্বাস জ্ঞাপন করা হবে।