বিশ্বজুড়ে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত নতুন করে কোথাও না কোথায় মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দেশে দেশে স্কুল-কলেজ, দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ ঠেকাতে নিজ দেশের মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বিভিন্ন দেশ।
যেসব দেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে:
ইউরোপীয় ইউনিয়ন: ইউরোপের দেশের প্রধানরা সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ ৩০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র: ইউএস-কানাডা সীমান্তে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। ইউরোপের ২৮ দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৪ দিনের মধ্যে চীন ভ্রমণ করলেও ওই পযর্টককে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
কম্বোডিয়া: কম্বোডিয়া সরকার ইতালি, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ভ্রমণে ১৭ মার্চ থেকে পরবর্তী ৩০ দিন নিষেজ্ঞাধা জারি করেছে।
কানাডা: কানাডার নাগরিক ছাড়া বিশ্বের সকল নাগরিকদের দেশটিতে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্য-কানাডা সীমান্তে দিয়ে প্রবেশ সীমিত করেছে।
কেপভার্দে: দেশটি ১৭ মার্চ থেকে তিন সপ্তাহের জন্য পূর্তগালসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব দেশ করোনায় আক্রান্ত সেইসব দেশে ভ্রমণ ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া ব্রাজিল, সেনেগাল এবং নাইজেরিয়ার সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশটি।
চীন: বেইজিংয়ে সমস্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং যারা বাধ্যতামূলক আসবে তাদের নিজস্ব ব্যয়ে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন)থাকতে হবে। ইরান, ইতালি, জাপান বা কোরিয়া থেকে আগত যাত্রী বেইজিং, গুয়াংজু বা সাংহাই ভ্রমণ করলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়া সাংহাই ১২টি দেশ তালিকাভুক্ত করেছে। সেসব দেশ থেকে আসা নাগরিকদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে বাধ্যতামূলক।
কলম্বিয়া: সবধরনের বিদেশি নাগরিকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে দেশটি।
মিশর: দুই সপ্তাহের জন্য বিশ্বের সব দেশের ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশটি।
জার্মানি: অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, এবং ডেনমার্ক সীমান্ত বন্ধ করেছে জার্মানি। তবে পণ্যসেবা এর বাইরে থাকবে।
হাইতি: ১৬ মার্চ মধ্যরাত থেকে ইউরাপ কানাডা ল্যাতিন আমেরিকা এবং ডমিনিকান রিপাবলিকের অন্তভূর্ক্ত দেশগুলোর সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
হংকং: ১৯ মার্চ থেকে হংকংয়ে প্রবেশকারী সকল দেশের নাগরিকদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক সঙ্গরোধে থাকতে হবে ।
হাঙ্গেরি: নাগরিকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করেছে বিদেশি।
ইন্ডিয়া: ইউরোপ, আইসল্যান্ড, নরওয়ে সুইজারল্যান্ড তুর্কি এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একইসঙ্গে পর্যটক ভিসাও বাতিল করেছে দেশটি।
জাপান: জাপান সরকার দেশটিতে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইতালির ভ্রমণকারীদের ১৪ দিনের জন্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
মালয়েশিয়া: দেশের সব নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। অন্য দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়া ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
মরক্কো: পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পযর্ন্ত সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে দেশটি।
নিউজিল্যান্ড: পর্যটকদের নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ। এছাড়া প্রবাসী নাগরিকদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
পেরু: ১৬ মার্চ থেকে ৩০ দিনের জন্য এশিয়া ও ইউরোপের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ফিলিপাইন: ১৯ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে ।
রাশিয়া: চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া এবং স্পেন ভ্রমণকারী যাত্রীদের ১৪ দিনের সঙ্গরোধে থাকতে হবে।
সৌদি আরব: সৌদি নাগরিক যাত্রীদের জন্য ৩০টি দেশ ভ্রমণ করেছে ১৪ দিন পার হয়নি এমন লোকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
দক্ষিণ কোরিয়া: চীনের হুবেই প্রদেশ ভ্রমণকারী নাগরিক, যাদের ১৪ দিন পার হইনি প্রবেশ নিষেধ।
শ্রীলঙ্কা: দক্ষিণ এশিয়ার সকল ফ্লাইট ২ সপ্তাহের জন্য বাতিল করেছে।
বলিভিয়া: আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সকল ফ্লাইট বাতিল করেছে। যা শুক্রবার (২০ মার্চ) থেকে কাযর্কর হবে। তবে বলিভিয়ার নাগরিক, বাণিজ্য এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে।
থাইল্যান্ড: হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইতালির নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে।
তুর্কি: ৯টি ইউরোপীয় দেশের ওপর ভ্রমণ স্থগিত করেছে। দেশগুলো হলো- জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ড।
ভিয়েতনাম: ২৬টি ইউরোপের দেশের পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ। আর এসব দেশ ভ্রমণকারী পর্টকদের ১৪ দিন সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন) থাকতে হবে।