সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের কারণে ভ্রমণে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আসায় এয়ারলাইন্সগুলো বাধ্য হচ্ছে তাদের সেবা বাতিল করতে।
ইজিজেট এবং লুফথানসা’র প্রধানরা জানিয়েছেন, যদি এভাবে মহামারি চলতে থাকে তাহলে এয়ারলাইন্সগুলো সরকারি সাহায্য ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না।
বড় এয়ারলাইন্সগুলোর একটি অস্ট্রেলিয়ার কোয়ান্টাস, তাদের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করার ঠিক পরেই এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
জার্মান এয়ারলাইন্স লুফথানসার প্রধান নির্বাহী কার্স্টেন স্পোর বিবিসিকে বলেন, সংকট যত দীর্ঘমেয়াদী হবে, সরকারি সহায়তা ছাড়া বিমান সংস্থার ভবিষ্যত তত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
ইতোমধ্যে বিশেষ ঋণের জন্য লুফথানসা জার্মান সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে।
ব্রিটিশ বিমান ইজিজেটের প্রধান জোহান লান্ডগ্রেনও স্পোরের মতই বলেন, সরকারি সহায়তা ছাড়া এয়ারলাইন্স দেউলিয়া হয়ে যাবে। এই পেশায় তার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন তিনি আর কখনো হননি বলে জানান।
ভারত তার এয়ারলাইন্সগুলোর সহায়তার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ভারতের অর্থমন্ত্রণালয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব বিবেচনা করছে। এই খাতে আরোপিত ট্যাক্সের সাময়িক স্থগিতাদেশও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) কোয়ান্টাস এয়ারলাইন্স করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে। তারা তাদের প্রায় ২০ হাজার কর্মীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে বলেও বিবিসিকে জানিয়েছে।
কোয়ান্টাসের প্রধান নির্বাহী অ্যালান জয়েস কর্মীদের কাছে লেখা এক চিঠিতে বলেন, চাহিদা ফুরিয়েছে। আমাদের অধিকাংশ কর্মীর জন্য এখন কোন কাজ নেই। এই পেশার ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।