নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির যে ক্ষতি সাধন হয়েছে তার জন্য আগামী বছরগুলোতে ভুগতে হবে বলে সতর্ক করেছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইসিইডি। সোমবার (২৩ মার্চ) এ সতর্কবার্তা দেন ওইসিইডি সেক্রেটারি জেনারেল আঞ্জেল গুরিয়া।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে আঞ্জেল গুরিয়া জানান, এই সঙ্কট ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক সঙ্কটের থেকে বড় হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে নিজেদের আগের অবস্থায় ফিরে আসতে অনেক সময় লেগে যাবে। তবে দেশগুলো কত সময়ে ফিরে আসবে তা তাদের চিন্তাভাবনার ওপর নির্ভর করে।
তিনি আরও বলেন, ভাইরাসের ফলে চাকরির পরিমাণ হ্রাস পাবে ও বিভিন্ন কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলো সামনের মাসগুলোতে মন্দার মুখে পড়বে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানের আর্থিক সঙ্কটের তুলনা দিয়ে তিনি বলেন, ভাইরাসের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা ১১ সেপ্টেম্বরের হামালা ও ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দার চেয়েও বেশি।
বেকারত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ভাইরাসের কারণে কত মানুষ বেকার হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সরকারগুলো কতটুকু সাহায্য করেছে তা আমাদের জানা নেই। তবে অনেক সরকারই নিজেদের ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবীদের সহায়তা করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর আগে ওইসিইডি থেকে ভাইরাসের দ্রুত পরীক্ষা ও আক্রান্তদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারগুলোকে আহ্বান জানানো হয়।
সম্প্রতি গুরিয়া সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার মহামারি আকারে হলে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে যাবে।
এদিকে মহামারি করোনা মোকাবিলায় ওইসিইডি চার ধাপের পরিকল্পনা দিয়েছে। আর এগুলো হল, বিনামূল্যে ভাইরাসের পরীক্ষা করা, মেডিকেল কর্মী ও চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট ও সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবারহ করা, কর্মজীবীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং উদ্যোক্তা ও কর দেওয়াদের ছুটি দেওয়া।
গুরিয়া তার পরিকল্পনার সঙ্গে মার্শালের পরিকল্পনার তুলনা করেছেন। আর মার্শালের পরিকল্পনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের পুনর্গঠনের জন্য বিশাল ভূমিকা রেখেছিল।