নভেল করোনাভাইরাসের কারণে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতি। ভাইরাসটির কারণে সর্বশেষ এক মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারগুলো নিম্নগামী রয়েছে। বিভিন্ন সরকারের প্রচেষ্টার পরেও কোনোভাবেই দরপতন থামানো যাচ্ছে না।
সোমবার (২৩ মার্চ) বিশ্বের পুঁজিবাজারগুলোতে একই অবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্বের সমস্ত পুঁজিবাজারগুলোর সূচক নিম্নগামী অবস্থায় আছে।
লন্ডনের এফটিএসই ১০০ পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে ৪ শতাংশ। অন্যদিকে ফ্রান্সের ফ্রাঙ্কফুর্ট ও প্যারিসের পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে ৩ শতাংশ।
এদিকে এশিয়ার পুঁজিবাজারগুলোর অবস্থা আরও শোচনীয়। হংকংয়ের হান সেং পুঁজিবাজারের সূচক কমেছে ৫ শতাংশ। আর চীনের সাংহাই কম্পোজিটের কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
লেনদেন শুরু হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধান পুঁজিবাজারের সূচক কমেছিল ১০ শতাংশ। কিন্তু পরবর্তীতে তা ৭ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করতে পারে।
লেনদেন শুরু হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এএসএক্স ২০০ পুঁজিবাজারের সূচক ৭ শতাংশ কমে যায়। কিন্তু দিনের শেষে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ নিয়ে পুঁজিবাজারটি দিন শেষ করে।
ভারতের ১৪ ঘণ্টার জনতা কারফিউ জারির দ্বিতীয় দিনে দেশটির পুঁজিবাজার সেনসেক্সের সূচক কমেছে ১০ শতাংশ। এমনকি সার্কিট ব্রেকার অতিক্রম হওয়ায় লেনদেন ৪৫ মিনিটের জন্য স্থগিত করা হয়।
এদিনে অপরিশোধিত তেলের দাম ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। যার ফলে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ২৬ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
এই পরিস্থিতিতে নীতিনির্ধারকরা আসন্ন বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব লাঘবের জন্য লড়াই করছেন। এদিকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইসিডি সতর্ক করেছে যে, মহামারি করোনাভাইরাস থেকে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে বিশ্বের কয়েক বছর সময় লাগবে।