নভেল করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা পৃথিবী। ভাইরাসটির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে অর্থনৈতিক খাত। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বিশ্বের সমস্ত পুঁজিবাজারই নিম্নগামী। দাম কমেছে তেলের।
কিন্তু মার্কিন সিনেট ও প্রশাসনের ২ ট্রিলিয়ন বিল পাসের খবরে কিছুটা ঊর্ধ্বগামী অবস্থানে রয়েছে পুঁজিবাজারগুলো। মার্কিন ওই বিলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকে আর্থিক সহায়তা ও লোন দেওয়ার কথা রয়েছে। আর এই খবরেই কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বাজারগুলোতে।
বুধবার (২৫ মার্চ) জাপানের নিক্কেই ২২৫ পুঁজিবাজারের সূচক বেড়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে চীনের সাংহাই কম্পোজিট পুঁজিবাজারের সূচক বেড়েছে ২ শতাংশ। অন্যদিকে লন্ডনের এফটিসআই ১০০ পুঁজিবাজারের সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
চুক্তিটি সাক্ষরিত না হলেও মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডোও জোন্স ইন্ড্রাস্টিয়াল এভারভেজের সূচক বেড়েছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। যা ১৯৩৩ সালের পর একদিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চ। এর আগে ১৩৫ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারটি সবচেয়ে বড় তিনটি ধস দেখেছে।
সূচকের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ফিডেলিটি ইন্টারন্যাশনালের ফান্ডের বিনিয়োগ পরিচালক টম স্টিভেনসন বলেন, এটা একটি সুসংবাদ। তবে এখনো আমরা ঝুঁকির বাইরে নেই।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির মোকাবিলায় এখনও বিভিন্ন সরকার তাদের বিল নিয়ে কাজ করছে। আর সম্পন্ন রুপে বিশ্বব্যাপী সরকার বিভিন্ন বিল পাস করলে অর্থনীতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকরা।