মহামারি নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বের দুই ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। সে উত্তেজনাকে প্রশমন করতে এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) তাদের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিসিটিভি'র বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে চীনের আরেক সংবাদ মাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিসিটিভি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, মহামারি ভাইরাসটি নিয়ে জি২০ এর ভার্চুয়াল সম্মেলনের পর শি ও ট্রাম্পের এই ফোনালাপ হয়।
ফোনালাপের পর এক টুইট পোস্টে ট্রাম্প জানায়, মাত্র শি'র সঙ্গে একটি ফোনালাপ হয়েছে। যা খুব ভাল হয়েছে। পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে তার সঙ্গে বিশদ আলোচনা হয়েছে। চীন ভাইরাসটিকে বুঝায় চীন অনেক অগ্রগতি করেছে। আমরা ভাইরাসটি নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। তাদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা!
এর আগে জি২০ সম্মেলনের ভিডিও কনফারেন্সে শি ভাইরাসটি নিয়ে বিশ্বের নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে তিনটি বার্তা প্রেরণ করেন। ওই তিনটি বার্তা হল, ভাইরাস প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার, নিম্নগামী অর্থনীতিকে সচল করতে প্রচেষ্টা ও চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিকূল পদক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান।
শি আরও বলেন, এই ভাইরাস কোনো সীমানা জানে না। ভাইরাসটি আমাদের সবার শত্রু। এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক যুদ্ধ অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। এই উত্তেজনা কমাতে দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্যিক চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে। তবে চীনে প্রথম পাওয়া যাওয়া কোভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে দেশ দুটির মাঝে উত্তেজনা ফের বৃদ্ধি পায়।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীন ভাইরাসটি নিয়ে তথ্য গোপন করেছে। তারা ছোঁয়াচে ভাইরাসটি নিয়ে বিশ্বকে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি। কিন্তু বেইজিং থেকে বলা হচ্ছে, তারা জানুয়ারির শুরুর দিকে ভাইরাসটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিল।
এছাড়া ট্রাম্প কোভিড-১৯ ভাইরাসটিকে 'চীনা ভাইরাস' বলে আখ্যা দিয়ে আসছেন। বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এমনকি সমালোচনার মুখেও তিনি এই শব্দটি ব্যবহার করে যাচ্ছেন।