নতুন করে আরও ১৮১ জনের মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৭৫৯ জনে পৌঁছেছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর একদিনে যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেঠে শুক্রবার (২৭ মার্চ)। আগের দিন দেশটিতে প্রাণহানি ঘটেছে ১১৫ জনের।
এদিন শুধু ইংল্যান্ডে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে আরও ১8৮ জন মারা গিয়েছেন, এর ফলে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮৯ জনে।
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) জানিয়েছে, মৃতদের বয়স ২৯ থেকে ৯৯ বছর। এর মধ্যে চারজন ছাড়া বাকি সবাই ৮২ থেকে ৯১ বছর বয়সী ছিলেন।
যুক্তরাজ্যে এখন অবধি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৪৫৭৯ জন। করোনাভাইরাস শনাক্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেশটিতে ৯৯ হাজার ১৯৮ জনের ফল নেতিবাচক এসেছে।
ওয়েলস আরও ছয়জন, স্কটল্যান্ডে আরও আটজন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে আরও তিনজনের মৃত্যু রেকর্ড করার পর যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান আপডেট করেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। দুজনই আইসোলেশনে আছেন বলে জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
টুইটারে একটি ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে বরিস জনসন তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান। ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম সারিতে থাকা এনএইচএসকে ধন্যবাদ জানান ওই টুইটে।
ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সাহস জোগালেও ভাইরাসটিতে তার আক্রান্ত হওয়ায় ডাউনিং স্ট্রিটের অন্যান্যরা এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরাও আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ নাগরিকরা লকডাউন ব্যবস্থায় জীবনযাপনের নতুন ধরনে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে। পুলিশ রাস্তায় টহল দিয়ে নাগরিকদের লকডাউনের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে বাধ্য করছে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একেবারে প্রয়োজনীয় না হলে দেশবাসীকে ঘরের বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশটিতে দু'জনের বেশি সমবেত হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং লোকেরা কেবল তাদের নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই বাইরে যেতে পারছেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বের ৫ লাখের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে, আর ভাইরাসটিতে ১৭৫ দেশের ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।