মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। ভাইরাসটির ফলে সবচেয়ে হুমকির মধ্যে পড়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতি। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবে পর থেকে বিশ্বের পুঁজিবাজারগুলো নিম্নমুখী। সমস্ত পুঁজিবাজার থেকে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার উধাও হয়েছে। এর ফলে চাকরিও হারিয়েছে কয়েক মিলিয়ন মানুষ।
তবে ভাইরাসের কারণে ধনীদের অর্থ কমলেও কমেনি বিশ্বের শীর্ষ ধনী অ্যামাজনের মালিক জেফ বোজেসের সম্পদের পরিমাণ। চলতি বছরের শুরু দিকে তার নিকটে যে অর্থ ছিল তার পরিমাণ এখন আরও বেশি। বর্তমানে তার অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অ্যামাজনে থাকা নিজের শেয়ারের একটি বড় অংশ বিক্রি করে বড় ক্ষতির থেকে রক্ষা পেয়েছেন বেজোস। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সঙ্কটের পুরোপুরি স্বীকৃতি দেওয়া আগেই তিনি এ শেয়ারগুলো বিক্রি করেন। আর বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দেওয়ার পরেই পুঁজিবাজারগুলোতে ধস নামে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো থেকে জানা যায়, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই শেয়ারগুলো বিক্রি করেন বেজোস। আর যার পরিমাণ ৩.৪ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মহামারি ভাইরাসের কারণে তিনি যে শেয়ার বিক্রি করেছেন তার সঠিক কোনো তথ্য নেই। এমনকি কেউ তাকে পরামর্শ দিয়েছে কিনা তাও জানা নেই। তবে তার শেয়ার বিক্রির সময় যথাযথ ছিল। ওই সময় তিনি তার শেয়ারের ৩ শতাংশ বিক্রি করে দেন। গত বছর তিনি যে শেয়ার বিক্রি করেছিলেন ফেব্রুয়ারি মাসে যা বিক্রি করছেন তার প্রায় সমান।
এদিকে গত সপ্তাহের ট্রাম্প প্রশাসনে বিল পাস ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে বিভিন্ন সরকারের পদক্ষেপের কারণে পুঁজিবাজারগুলো কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী অবস্থান নেয়। আর এ সময়ে দাম বাড়ে অ্যামাজনের শেয়ারেরও। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারগুলোতে অ্যামাজনের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১২০ বিলিয়ন। যার মধ্যে বেজোসের রয়েছে ৩.৯ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার রয়েছে।