বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এ মহামারিতে ১৯৯টি দেশে মোট মারা গেছে ২৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬০ জন।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ও মিটারের ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ওয়ার্ল্ড ও মিটারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার ৬৯১ জন। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ১২৬ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা নিউইয়র্কে ৪৬ হাজার ২৬২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট মারা গেছে ১ হাজার ৬৯৫ জন। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৫২২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
করোনা সংক্রমণে মৃতের দিক দিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। ঘড়ির কাটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জ্যামিতিক হারে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯১৯ জন। যা দেশটিতে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে ইতালিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার ১৩৪-এ দাঁড়িয়েছে। যা এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
এদিকে, ইতালিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৪৯৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ হাজার ৯৫০ জন।
মৃতের হিসাবে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৯৩৪ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৫৯ জন।
স্পেনের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চীনে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৩৪০ জন। এর মধ্যে তিন হাজার ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে চীনের বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপনের অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে নতুন করে আরও চার জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগী ৪৮ জন। সরকারি হিসাবে, মোট মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮৭ জন। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৩৩১ জন। এর মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।