বর্তমান সময়ে বিশ্বে সবচেয়ে আতঙ্কের নাম নভেল করোনাভাইরাস। ভাইরাসটির বিস্তার রোধে লকডাউনের পথে যাচ্ছে অনেক দেশই। নতুন করে অনেক দেশই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউন ব্যবস্থা করছে।
কোভিড-১৯ ভাইরাসটি প্রথম পাওয়া যাওয়া যায় চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে। ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে দুই মাসেরও বেশি সময় লকডাউন ছিল শহরটি। কিন্তু বর্তমানে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়ায় শহরটির লকডাউন ব্যবস্থা শিথিল করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ মার্চ) থেকে এ উহান শহরের লকডাউন শিথিল করে নেয় শহরটির নীতিনির্ধারকরা। এদিনে শহরটির সীমানা পুনরায় চালু ও মেট্রো পরিষেবা চালু করা হয়।
এদিকে মেট্রো পরিষেবা চালু করায় উহানে ফিরতে শুরু করেছে শহরটির বাসিন্দারা ও শ্রমিকরা। মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ার পর সাংহাইয় থেকে ফিরে এসেছে উহানের বাসিন্দা গু লিহাংকি। তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পেরে খুব আনন্দিত। আমি আমার মাকে আলিঙ্গন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্পেশাল পিরিয়ড শেষ না হওয়ায় তা করতে পারিনি।
মধ্য চীনের উহানে ১১ মিলিয়ন লোকের বাস। শহরটির কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হলেও যাত্রীবাহী বাস ও ট্যাক্সি সার্ভিস চালু করা হয়নি। এমনকি প্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন করে যেন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে চীনা সরকার।
শনিবার চীনের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, চীনের মূলভূখণ্ডে কোভিড-১৯ ভাইরাসে ৫৮ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা গেছে। তবে নতুন আক্রান্ত সবাই দেশটির বাইরে থেকে আগত।
চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন ৮১ হাজার ৩৯৪ জন। আর মারা গেছে ৩ হাজার ২৯৫ জন।
চীনে মোট আক্রান্তের ৬০ শতাংশই উহানের। তবে সর্বশেষ কয়েক সপ্তাহে তা কমে এসেছে। গত সপ্তাহের সোমবার শহরটিতে স্থানীয়ভাবে সর্বশেষ সংক্রমিত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়।