করোনাভাইরাস মহামারিতে গত ১৮ বছরের মধ্যে তেলের মূল্যের সর্বোচ্চ পতন হয়েছে।
বিবিসি বলছে, সোমবার ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল নেমে আসে ২২ দশমিক ৫৮ ইউএস ডলারে। ২০০২ সালের নভেম্বরের পর এটিই সর্বনিম্ন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ব্যারেল প্রতি ২০ ডলারের নিচে নেমে আসে।
গত মাস থেকে কোম্পানিগুলোতে উৎপাদন বন্ধ থাকায় তেলের মূল্য অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে।
চাহিদা কম থাকায় মূল্য পতনের প্রতিযোগিতা সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। চলতি মাসের শুরুতে এই প্রতিযোগিতায় নাম লেখায় সৌদি আরব ও রাশিয়া।
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন। ফ্লাইটসহ পরিবহন ও বিভিন্ন ব্যবসায় নেমেছে ধস। এতে তেলে চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আর চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে তেলের মূল্য।
যাই হোক, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই মুহূর্তে তেলের মূল্য বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে করোনা ঠেকানো বেশি জরুরি।
১৯৩০ সাল থেকে উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত রাষ্ট্রগুলোকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষমতা অনুযায়ী মূল্য স্থিতিশীল রাখতে উৎপাদন সীমাবদ্ধ রাখা যায়। কিন্তু এটি আর কোনো রাষ্ট্র অনুসরণ করে না।