এ মাসের শেষের দিক থেকে বর্তমানের চেয়ে প্রতিদিন ১০ গুণ বেশি করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।
গণ হারে স্বাস্থ্যকর্মী এবং জনসাধারণের পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে তীব্র সমালোচনার পর বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেলফ আইসোলেশনে থাকার পর করোনা থেকে সুস্থ হয়ে মন্ত্রী বলেন, এ মাসের শেষের দিক থেকেই প্রতিদিন এক লাখ করোনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছি। এটা আমাদের লক্ষ্য এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা এটি অর্জন করতে পারব। বর্তমানে প্রতিদিন ১০ হাজার পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ব্রিটেনে প্রথমে মহামারি ঠেকাতে নমনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, করোনায় সেখানে আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তখনই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কৌশল বদলে ফেলেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর কঠোর হন।
যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা ইপসস মোরির এক জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশি ব্রিটিশ মনে করে, সরকার লকডাউন ঘোষণা করতে অনেক দেরি করে ফেলেছে।
১ এপ্রিল পর্যন্ত পুরো যুক্তরাজ্যে ৩৩ হাজার ৭১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৯২১ জন। জনসনেরও করোনা পরীক্ষা করে পজিটিভ ফল পাওয়া গেছে এবং তিনি এখন ডাউনিং স্ট্রিটে আইসোলেশনে আছেন।
করোনাভাইরাস দেশের অর্থনীতির ওপর কতটা ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে, সে সম্পর্কে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) রয়টার্সকে বলে, আমরা ৩২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে আলোচনা করছি। এক জরিপে দেখা গেছে, এক চতুর্থাংশের বেশি ব্রিটিশ কোম্পানি তাদের কর্মী ছাঁটাই করে ফেলেছে।