ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান বেনি গ্যান্টজ একটি জরুরি জোট সরকার গঠনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) তিন বছর মেয়াদি এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন তারা। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম দেড় বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন নেতানিয়াহু আর পরের দেড় বছর দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গ্যান্টজ।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দেশটির ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক সংকটের অবসান ঘটলো।
গত এক বছর ধরে ইসরাইলে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। সেখানে তিন দফা সংসদ নির্বাচন হলেও এখন পর্যন্ত কোনো দল সরকার গঠন করতে পারেনি। সর্বশেষ ২ মার্চের নির্বাচনেও কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ১২০ আসনের নির্বাচনে যে কোনো দলকে সরকার গঠন করতে হলে ৬১টি আসন পেতে হবে।
এমন সময় গত মাসে ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির নেতা বেনি গ্যান্টজ আরব জোটের সুবাদে ইসরায়েলের সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দেন। ইসরায়েলের নাগরিকদের মধ্যে প্রায় এক পঞ্চমাংশই ফিলিস্তিনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের কোনো দল সরকার গঠনের সময় আরব কোনো রাজনৈতিক দলকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। মার্চ মাসের নির্বাচনে আরব জোট দেশটির পার্লামেন্টের তৃতীয় স্থান দখল করে। শেষমেশ গ্যান্টজকে সমর্থন জানায় আরব জোট। যার ফলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৬১টি আসন সুরক্ষিত করতে পেরেছেন গ্যান্টজ। অবশেষে নেতানিয়াহু ও বেনি গ্যান্টজের মধ্যে জোট সরকার গঠনের পরিকল্পনা চলছিল।
উল্লেখ্য, ইসরাইল গত এক বছর ধরে মারাত্মক রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। গত ১১ বছর ধরে টানা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন নেতানিয়াহু। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নৌবাহিনীর জন্য সাবমেরিন কেনার সময় ৪৪ লাখ ডলার দুর্নীতির অভিযোগ। যদিও নেতানিয়াহু এ সমস্ত অপরাধের কথা অস্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে সরকার গঠনের ব্যাপারেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতানিয়াহু।