আটলান্টিক মহাসাগরের সমস্ত বরফ ২০৫০ সালের গরমের মধ্যেই গলে যাবে বলে জানিয়েছে গবেষকরা। মার্কিন জার্নাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারসে প্রকাশ হওয়া এক গবেষণা থেকে এ তথ্য বের হয়েছে। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
জার্নালে গবেষকরা জানায়, বৈশ্বিক উষ্ণতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে আর্টিক অঞ্চলের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যতটুকু আশা করেছিলাম তার থেকে বরফ দ্রুত গলছে। যার ফলে সামনের দশকগুলোতে আমরা বরফ ছাড়া গ্রীষ্মকাল দেখতে হবে।
জলবায়ু সংকট নিয়ে গবেষকরা আরো বলেন, এটি এখন কেবলমাত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা ওপর নির্ভর করছে আমাদের পৃথিবীর উত্তরের বরফ কত বছর থাকবে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২১টি ইন্সটিটিউটের ৪০টি জলবায়ু মডেলের ব্যবহার করে গবেষকরা এ তথ্য প্রদান করেছে।
এ বিষয়ে সাগরের বরফ নিয়ে গবেষণা করা হামবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডির্ক নোটজ বলেন, যদি আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দ্রুত কমাতে পারি ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ সেলসিয়াসের নিচে রাখতে পারি তারপরেও ২০৫০ সালের আগেই বরফগুলো অদৃশ্য হয়ে যাবে। এই অবস্থা আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।
বর্তমানে উত্তরের সম্পূর্ণ পোল সারা বছর বরফে আচ্ছাদিত থাকে। তবে গ্রীষ্মে বরফ কিছুটা গলে যায়। আবার শীতে তা বৃদ্ধি পায়।
চলমান বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সর্বশেষ কয়েক দশকে ক্রমবর্ধমান হারে বরফ গলছে। আর এই অবস্থা আর্টিক অঞ্চলের জলবায়ু ও বাস্তুসংস্থানে ব্যাপক হারে প্রভাব ফেলছে।