১৭ দিনের ‘বিষাদ ভ্রমণ’ শেষে মৃত নবজাতককে বিদায় জানাল মা তিমি

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 14:33:17

মানুষ হোক কিংবা অন্য কোন প্রাণী, সন্তানের জন্য মায়া সবার মাঝেই আছে। মা তো মা ই হয়। এই চিরন্তন সত্যকে যেন এবার প্রমাণ করল একটি মা তিমি। গত ২৪শে জুলাই মা তিমির নবজাতক শাবকটি মারা যায়। ওইদিন কানাডার ভ্যাঙ্কুভার উপকূলে মা তিমিকে মৃত নবজাতককে বহন করতে দেখা গিয়েছিল। সাধারণত নবজাতক মারা গেলে মা তিমি কিছুদিন সেটি নিয়ে ভেসে থেকে অবশেষে পানিতে ছেড়ে দেয়। কিন্তু এই তিমিটির ক্ষেত্রে সে ধরনের কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছিল না।

অবশেষে ১৭ দিন পর সমুদ্রে অন্তত ১ হাজার মাইল (১,৬০০ কিলোমিটার) বহন করার পর অবশেষে মৃত নবজাতককে বহন বন্ধ করে দেয় মা তিমি। আর এভাবে গত কয়েকদিনে সারাবিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় মা তিমিটি।

মা তিমিটি জে৩৫ নামেই গবেষকদের কাছে পরিচিত। তিমি গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা কেন ব্যালকম্ব বলেছেন, জে৩৫ তিমিটি স্বাভাবিক ব্যবহারে ফিরে আসায় দারুণ স্বস্তি হচ্ছে এখন।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই তিমি রেকর্ড করেছে। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের তিমি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা বলছেন, ‘তিমিটির বিষাদ ভ্রমণ শেষ হয়েছে এবং তার আচরণ ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে বিচিত্র।’

তিমি গবেষণা কেন্দ্র শনিবার এক বিবৃতিতে বলে, ‘সমুদ্রতট থেকে নেয়া টেলিফটো ডিজিটাল চিত্র থেকে ধারণা করা যায় যে মা তিমিটি শারীরিকভাবে সুস্থ অবস্থাতেই রয়েছে। মৃত নবজাতক তিমিটির দেহ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যবর্তী স্যালিশ সাগরে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তিমির দেহের 'নেক্রপসি' (পশুর ময়নাতদন্ত) করার সুযোগ হয়তো পাবেন না গবেষকরা।’

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশই এই ধরণের তিমিকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ধরণের তিমির প্রধান খাবার চিনুক স্যামন মাছ, যার সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক কমে গেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর