দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০ হাজার বিএমডব্লিউ গাড়ি নিষিদ্ধ

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 21:58:38

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দেশটিতে প্রায় ২০ হাজার বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি সেখানে কয়েকটি বিএমডব্লিউ গাড়ির ইঞ্জিনে আগুন ধরার প্রেক্ষিতে দেশটির সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। খবর রয়টার্সের।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত জার্মানভিত্তিক বিলাসবহুল এ গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ৩৯টি গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুধু জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের ভেতরে দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৭টি গাড়ির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তারপর প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ কোরিয়ায় দারুণ ইমেজ সঙ্কটে পড়ে গ্রাহকদের কাছে দু:খ প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। এগজস্ট গ্যাস রিসার্কুলেশন অথবা ডিজেল ইঞ্জিনে নাইট্রোজেন অক্সাইড কমানোর জন্য যেসব উপাদানগুলো ব্যবহার হয় সেগুলোকেই গাড়িতে আগুন লাগার প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে বিএমডব্লিউ কর্তৃপক্ষ।

গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে তিন লাখ ২৩ হাজার ৭০০টি গাড়ি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বিখ্যাত এ গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে জরুরি পরিদর্শন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক লাখ ৬ হাজার ৩১৭টি গাড়ি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু গত সোমবার পর্যন্ত ২৭ হাজার গাড়িও চেক করে দেখা সম্ভব হয় নি।

তাই বিএমডব্লিউর গাড়িতে আগুন ধরার ঘটনায় নিরাপত্তার ছাড়পত্র না পাওয়া গাড়িগুলোর চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দক্ষিণ কোরিয়া। মঙ্গলবার দেশটির ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কিম হিউন-মি জার্মানভিত্তিক গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দেন। তিনি বলেছেন, আমাদের জনগণ খুব উদ্বিগ্ন। এই মুহূর্তে আমরা বিএমবব্লিউ গাড়ি ব্যবহার করতে সবাইকে সর্তক করছি।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অনিরাপদ হওয়ায় প্রায় ২০ হাজার বিএমডব্লিউ গাড়ি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

দেশটির আইনানুযায়ী সাধারণত এধরনের আদেশ স্থানীয় সরকারই দিয়ে থাকে। জাতির উদ্দেশ্যে কিম হিউন-মি বলেন, বিএমডব্লিউর গাড়ি চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের অবশ্যই স্থানীয় সরকারের ওপর নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ফলে যেসব গাড়ি প্রত্যাহার করার তালিকায় রয়েছে সেসব গাড়ির নিরাপত্তা বিষয়ে ছাড়পত্র না থাকলে চলাচল করতে পারবে না।

খবরে বলা হয়েছে, যদি ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রীর এ আদেশ কার্যকর হয় তাহলে দক্ষিণ কোরিয়ায় কেবল নিরাপত্তার ছাড়পত্র পাওয়া গাড়িগুলোই চলাচল করতে পারবে। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, দক্ষিণ কোরিয়ায় যেসব মডেলের গাড়িতে আগুন লাগার খবর আসছে সেই গাড়িগুলো প্রত্যাহারের তালিকায় নেই।

এ সম্পর্কিত আরও খবর