বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন।
বুধবার (৩ জুন) বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এই আহ্বান জানান।
ঝাও লিজিয়ান বলেন, আমরা আশা করি যে সংখ্যালঘুদের আইনানুগ অধিকার রক্ষায় সকল প্রকার বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অধীনে মার্কিন সরকার তার বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তবে চীন সর্বদা বর্ণ বৈষম্যের বিরোধিতা করে বলে জানান তিনি।
এদিকে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। বিক্ষোভকারীরা কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমেছেন। বিভিন্ন শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর খবরে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যগতভাবে বেইজিং বর্ণবাদকে পশ্চিমা সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তবে চীন নিজেই সম্প্রতি আফ্রিকানদের সঙ্গে আচরণ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে।
গত মাসে বহু আফ্রিকান বহু আফ্রিকান নাগরিককে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজুতে জোর করে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। তাদের সম্প্রতি কোনও ভ্রমণ ইতিহাস না থাকার পরও তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। আবার অনেককে বাড়ির মালিক বের করে দিলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। এমনকি কেউ তাদের হোটেল কক্ষও ভাড়া দেয়নি।
ওই ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশ চীনের নিন্দা জানায়। এমনকি আফ্রিকান ইউনিয়নও চীনের কাছে জবাব দাবি করে। তবে এই ধরণের কোনও ঘটনার কথা স্বীকারই করেনি বেইজিং।
ওই ঘটনায় চীন-আফ্রিকা সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে, বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমনকি আফ্রিকান ইউনিয়ন চীনের কাছে জবাব চেয়েছিল।