বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ওয়াশিংটন কুকুর লেলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র আর হংকং বা মানবাধিকার বিষয়ে চীনের সমালোচনা করার মতো অবস্থানে নেই বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্রে একটি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। সেখানে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া (ডব্লিউপিকে) -র আন্তর্জাতিক বিষয় বিভাগের একজন মুখপাত্র নাম গোপন রেখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও এর সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
রোববার (৩১ মে) ফক্স নিউজকে পম্পেও বলেন, চীনের সাম্প্রতিক সময়ের কর্মকাণ্ড পাশ্চাত্য ধারণা, পাশ্চাত্য গণতন্ত্র, পাশ্চাত্য মূল্যবোধ ধ্বংসের ইঙ্গিত দেয় যা আমেরিকানদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
ডব্লিউপিকে-এর মুখপাত্র বলেন, হংকং, তাইওয়ান, মানবাধিকার এবং বাণিজ্য বিরোধ বিষয়ে পম্পেও এর বক্তব্য অবান্তর এবং এটি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বের মানহানি করেছে।
ঐ মুখপাত্র আরো বলেন, পম্পেও, যিনি অন্য দেশের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিতে এবং ষড়যন্ত্র তৈরিতে গভীরভাবে জড়িত তিনি সূর্য কোনদিকে ওঠে এবং কোনদিকে অস্ত যায় তাও আর বুঝতে পারছেন না।
পুলিশের নির্মমতার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকান নেতাদের এমন বক্তব্য পতনশীল যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে তাদের উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশ।
তীব্র বর্ণবাদীদের কারণে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউসের সামনেও জড়ো হয়েছে। এটিই বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তবতা। আমেরিকার উদারতাবাদ এবং গণতন্ত্র আন্দোলনকারীদের বামপন্থী হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং তাদের দমন করতে কুকুর লেলিয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। মুখপাত্র তার আর্টিকেলে এসব উল্লেখ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম ডব্লিউপিকে-এর আন্তর্জাতিক বিষয় বিভাগ নিজেদের কোন বক্তব্য দিয়েছে।