চলতি বছরেই কয়েকশ মিলিয়ন ভ্যাকসিন উৎপাদন: ডব্লিউএইচও

বিবিধ, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-16 11:20:10

চলতি বছরের শেষ নাগাদ কয়েকশ মিলিয়ন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করা যেতে পারে। উৎপাদিত এ ভ্যাকসিন ভাইরাসটিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ডব্লিউএইচও জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে জানায়, ২০২১ সালের মধ্যে দুই বিলিয়ন ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তারা এগোচ্ছে। আর ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোও এজন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ডব্লিউএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, বিশ্বজুড়ে গবেষকরা ২০০টিরও বেশি ভ্যাকসিনের উপর পরীক্ষা করছেন। এর মধ্যে মানব দেহের ট্রায়ালে আছে ১০টি ভ্যাকসিন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যদি খুব ভাগ্যবান হয়ে থাকি তবে এই বছরের শেষের আগে একটি বা দুটি সফল ভ্যাকসিন প্রার্থী থাকবে।

ভ্যাকসিনের ডোজ সরবরাহের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন বেশি তিনটি গ্রুপ চিহ্নিত করা হয়েছে: 


প্রথম গ্রুপ হলো— চিকিৎসক ও পুলিশ অফিসারদের মতো উচ্চ এক্সপোজারসহ ফ্রন্ট-লাইনের কর্মী,

দ্বিতীয়ত— বয়স্ক ও ডায়াবেটিস রোগী যারা করোনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ

তৃতীয়ত— উচ্চ-সংক্রমিত এলাকাগুলো, যেমন- শহুরে বস্তি ও কেয়ার হোমস।


স্বামীনাথন বলেন, আপনাকে সবচেয়ে দুর্বল থেকে শুরু করতে হবে। তারপরে ধীরে ধীরে আরও বেশি লোককে টিকা দিতে হবে। আমরা আশাবাদী, এই বছরের শেষের দিকে কয়েকশ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করার জন্য। আর ২০২১ সালের মধ্যে এক, দুই বা তিনটি কার্যকর ভ্যাকসিনের দুই বিলিয়ন ডোজ সারা বিশ্বে বিতরণ করা হবে। কিন্তু এ সব কিছুর পেছনে একটি বড় ‘যদি’ রয়েছে। কারণ আমাদের কাছে এখনও প্রমাণিত কোনো টিকা নেই। ভাইরাসটি দমনে আনুমানিক ১৫ বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে।

বিজ্ঞানীরা নতুন করোনভাইরাসটির ৪০ হাজার সিক্যুয়েন্স বিশ্লেষণ করছেন। সমস্ত ভাইরাস পরিবর্তিত হওয়ার সময়, এই রোগটি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই কাজ করছিল। এখনও সেই মূল ক্ষেত্রগুলোতে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। যা কিনা রোগের তীব্রতা বা প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিবর্তন করতে পারে। এতে করে আমরা আশাবাদী ভ্যাকসিন মানবদেহে কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর