বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে (৩৩) হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) নিউইয়র্ক ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে পড়াশোনা করতেন ফাহিম।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডেইলি নিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সারাদিন ভাইয়ের দেখা না পেয়ে ৯১১ নম্বরে ফোন করেন ফাহিমের বোন। এরপর নিউইয়র্ক ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের টুকরা করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইলেকট্রিক করাত দিয়ে মৃতদেহ থেকে হাত, পা ও মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়।
ওই অ্যাপার্টমেন্টের সিসি ক্যামেরা থেকে দেখা গেছে, ১৩ জুলাই নিজ অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার জন্য লিফটে উঠছেন ফাহিম। এ সময় স্যুট পরা, হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরা একজনকে তার পেছনে যেতে দেখা গেছে। এরপরই হয়তো ফাহিমকে হত্যা করা হয়। ওই ব্যক্তিকে পেশাদার হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পেশায় ওয়েব ডেভেলপার ছিলেন ফাহিম। বাংলাদেশে পাঠাও কোম্পানিতে নিজের শেয়ার বিক্রি করে নাইজেরিয়াতে একই ধরনের ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। তবে গত জানুয়ারিতে নাইজেরিয়ায় ‘গোকাডা’ নামের কোম্পানিটি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়ে।