করোনার টিকা পেতে বিশ্ব প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন

আমেরিকা, আন্তর্জাতিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-08 15:44:20

করোনা ভ্যাকসিন যে সকল দেশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে এর সাশ্রয়ী ও ন্যায্য বন্টন নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এক্ষেত্রে একটি ন্যায্যতাভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়নেরও আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) নিউইয়র্ক জাতিসংঘ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন দেশে করোনা ভ্যাকসিন তৈরিতে যারা কাজ করছেন তাদের অগ্রগতি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘গ্লোবাল পাবলিক গুড’ হিসেবে পরিণত করতে নিঃসন্দেহে সুদৃঢ় বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের গবেষণা, উন্নয়ন, সরবরাহ এবং এর সমতাভিত্তিক বন্টন কাঠামো’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে এ সকল কথা বলেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

ইভেন্টটি যৌথভাবে আয়োজন করেন যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ এবং ইউনাইটেড ন্যাশন্স ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ কাউসেনস। অনুষ্ঠানটিতে কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের সার্বজনীন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে ব্রিফ করেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার টিকা, ভ্যাকসিন ও বায়োলজিক্যালস এর পরিচালক কেট ও ব্রায়েন এবং গ্যাভী (এধার) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম্যারি-অ্যাঞ্জে সারাকা-ইয়াও।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদেরকে আবারও জোরালোভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে এই বিশ্বের সকলে এক অপরের সাথে সংযুক্ত। অতএব, বৈশ্বিক এই স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একতাবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি সতর্কতা ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যদি পুনঃসংক্রমণ রোধ করতে চাই, তাহলে প্রতিরোধ ও পুনরুদ্ধার বিষয়ে আমাদেরকে একসাথে এবং কার্যকর বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় এবং দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ভ্যাকসিনের অপরিসীম গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রফেসর সারাহ গিলবার্টের নেতৃত্বে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অক্সফোর্ড জেনার ইনস্টিটিউট টিমের মহতী কাজের ভূয়সী প্রসংশা করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

সভায় বলা হয় ২০২১ সালের শেষ অবধি বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ বিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজের প্রয়োজন হবে। ব্রিটিশ সরকার বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সমতাভিত্তিক বন্টন বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের জন্য বন্টন নিশ্চিত করবে মর্মে প্রতিশ্রুতির কথা জানান যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ। তিনি আরও বলেন, তার সরকার ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিষয়ে ৭৬০ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর