ফাইজার বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ এর টিকাকে হালাল বলে ঘোষণা করেছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী মুসলিম সংগঠন।
বেশ কয়েকজন দেওবন্দি মুফতি এই টিকার বিষয়ে হালাল ফতোয়া দিয়েছেন। তাদের অন্যতম হলেন- দারুল উলুম ব্লাকবার্নের মুফতি ইউসুফ সাব্বির ও মুফতি সাব্বির আহমদ, দারুল উলুম বারীর মুফতি মুহাম্মদ তাহির এবং এনএইচএসের পরামর্শদাতা কালিঙ্গল রিয়াদ।
বিবৃতিতে মুফতিরা জানিয়েছেন, আমরা ফাইজার কোম্পানীর কাছে টিকার উপাদানের বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা আমাদেরকে টিকার উপাদানের ব্যাপারে বিস্তারিত সব দেখিয়েছে। এ সময় কোলেস্টেরল নিয়ে একটু সমস্যা সৃষ্টি হয়, যা মূলত প্রাণীর চর্বি থেকে আসে। কিন্তু এটা মুরগির ডিম থেকেও পাওয়া যায়। যা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছে।
সরকারের ভাষ্যেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এটি হালাল কারণ এতে কোনো প্রাণীর চর্বি নেই। কোভিড টিকা এমআরএনএ ভ্যাকসিন বিএনটি১৬২বি২ উৎপাদনে ব্যবহৃত লিপিড উদ্ভিদ বা কৃত্রিম উপায়ে নেওয়া হয়েছে। সুতরাং এর মাধ্যমে বলা যায় যে, এতে কোনো ধরণের প্রাণীর চর্বি নেই।
এই উপাদানগুলো শুধুমাত্র ফাইজারের উৎপাদিত টিকার জন্য প্রযোজ্য। অন্যান্য কোম্পানীর টিকা এর আওতায় আসবে না। আর উপাদানগুলোর বিষয়ে অবগত হয়ে মুফতিরা হালাল কলে ফতোয়া দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ফাইজারের টিকা আবিষ্কার করেছেন তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান চিকিৎসক বিজ্ঞানী দম্পতি ডা. শাহীন-তুরেসি।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটির সর্বোচ্চ মুসলিম ধর্মীয় সংগঠন চীনভিত্তিক সিনোভ্যাক বায়োটেকের টিকাকে হালাল ঘোষণা করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে হালাল হওয়া উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ রাখবে, যদিও ইন্দোনেশিয়ায় সিনোভ্যাকের টিকা ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়।
দেশটির মানব উন্নয়ন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী মুহাদজির আফেদি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনার টিকার ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ান উলামা কাউন্সিলের গবেষণা শেষ হয়েছে এবং হালাল ফতোয়ার জন্য কাউন্সিলের কাছে জমা তা দেওয়া হয়েছে।