কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ৯ বছরের সভাপতি, বরেণ্য আলেম, শায়খুল হাদিস আল্লামা নূরউদ্দীন আহমদ গহরপুরী (রহ.)-এর ওপর একটি প্রামাণ্য স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হচ্ছে। প্রায় আটশ পৃষ্ঠার স্মারকগ্রন্থটির ছাপার কাজ শেষ পর্যায়ে। নতুন বছরের শুরুতেই স্মারকগ্রন্থটি বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আল্লামা গহরপুরী (রহ.)-এর সাহেবজাদা, গহরপুর জামিয়ার মুহতামিম ও বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজুর তত্ত্বাবধানে স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশিত হচ্ছে। প্রকাশক আল্লামা গহরপুরী রহ. ফাউন্ডেশন।
স্মারকগ্রন্থটির সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন বিশিষ্ট আলেম লেখক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ। নির্বাহী সম্পাদক আলেম-সাংবাদিক জহির উদ্দিন বাবর। আরও কাজ করেছেন মাওলানা আবদুল্লাহ মোকাররম, আলী হাসান তৈয়ব ও রোকন রাইয়ান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্মারকগ্রন্থটির কাজ সম্পন্ন হয় সাত/আট বছর আগে। নানা কারণে এটি প্রকাশিত হতে বিলম্ব হয়। বিভিন্ন অধ্যায়ে বিভক্ত প্রায় আটশ পৃষ্ঠার স্মারকগ্রন্থটিতে ২৪১ জনের লেখা স্থান পেয়েছে। এছাড়া আল্লামা গহরপুরী রহ.-এর একটি জীবনী এবং চার রঙের একটি প্রামাণ্যচিত্র স্মারকে যুক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় এতে লিখেছেন এমন প্রায় ৭০ জন ইতোমধ্যে ইন্তেকাল করেছেন। গত ১০/১২ বছরে চলে যাওয়া শীর্ষ আলেমদের প্রায় সবার লেখাই স্মারকে স্থান পেয়েছে। মন্ত্রী-এমপি, মেয়রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের লেখায় স্মারকগ্রন্থটি সমৃদ্ধ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পর ঢাকা-সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে। এছাড়া রকমারি ডটকম থেকেও কেনা যাবে।
ঢাকায় স্মারকগ্রন্থটির প্রকাশনা উপলক্ষে আল্লামা গহরপুরী (রহ.)-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠান হওয়ারও কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের শীর্ষ বুজুর্গ আলেমদের অন্যতম ছিলেন আল্লামা নূরউদ্দীন আহমদ গহরপুরী (রহ.)। শায়খুল আরব ওয়াল আজম সাইয়্যেদ হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)-এর ঘনিষ্ঠ এই শাগরেদ সিলেটের জামিয়া গহরপুরসহ অসংখ্য মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
সর্বজনমান্য বুজুর্গ এই আলেম ১৯৯৬ সালে সর্বসম্মতিক্রমে বেফাকের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত তিনি বেফাকের সভাপতি ছিলেন। তার আমলে বেফাক অনেক বিস্তৃত হয় এবং উন্নতি লাভ করে।