শায়খুল হাদিস আল্লামা নূরউদ্দীন আহমদ গহরপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ২০০৫ সালের ২৬ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। বরেণ্য এই আলেমের ইন্তেকালের ১৫ বছর পর তার ওপর প্রকাশিত হলো- একটি সমৃদ্ধ ও প্রামাণ্য স্মারকগ্রন্থ।
নানা শ্রেণি-পেশার ২৪১ জনের লেখায় সমৃদ্ধ হয়েছে স্মারকগ্রন্থটি। দেশের প্রথম সারির আলেমদের বড় অংশের লেখা স্থান পেয়েছে এতে। বর্ণাঢ্য স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে আল্লামা গহরপুরী রহ. ফাউন্ডেশন।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) স্মারক প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি হোটেলে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার ইসলাম পাতায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আল্লামা গহরপুরী (রহ.)-এর সাহেবজাদা ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা মুসলেহুদ্দীন গহরপুরী।
মুখ্য আলোচক ছিলেন স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক এবং বিশিষ্ট আলেম লেখক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ।
স্মারকগ্রন্থের নির্বাহী সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবরের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, বার্তা২৪.কম-এর বিভাগীয় সম্পাদক মুফতি এনায়েতুল্লাহ, আওয়ার ইসলামের সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব, দৈনিক নয়া দিগন্তের সহ-সম্পাদক মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, দৈনিক আমার বার্তার সহকারী সম্পাদক মাসউদুল কাদির, আলোকিত বাংলাদেশের সহ-সম্পাদক আলী হাসান তৈয়ব, দৈনিক কালের কণ্ঠের সহ-সম্পাদক আতাউর রহমান খসরু, সময়ের আলোর সহ-সম্পাদক আমিন ইকবাল, দৈনিক যুগান্তরের বিভাগীয় সম্পাদক তোফায়েল গাজালী ও অনলাইন বিভাগের সহ-সম্পাদক তানজিল আমির, ভোরের পাতার বিভাগীয় সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান, বাংলাদেশের সময়ের বিভাগীয় সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হোসাইনী প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্মারকগ্রন্থের সহযোগী সম্পাদক আবদুল্লাহ মোকাররম, রোকন রাইয়ান, দারুল উলুম লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী শহীদুল ইসলাম, রকমারি ডটকমের কর্মকর্তা এহসানুল হক ও ক্যালিগ্রাফার ইলয়াস হোসাইন।
সর্বমহলে বরেণ্য বুজুর্গ আলেম ছিলেন শায়খুল হাদিস আল্লামা নূরউদ্দীন আহমদ গহরপুরী (রহ.)। ‘মুহাদ্দিস সাহেব’, ‘গহরপুরী হুজুর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন দেশ-বিদেশে। শায়খুল আরব ওয়াল আজম হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)-এর একান্ত খাদেম ও শাগরেদ ছিলেন। সিলেটের জামিয়া গহরপুরসহ অসংখ্য মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রায় নয় বছর জাতীয় প্রতিষ্ঠান কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
স্মারকগ্রন্থটির শুরুতে রয়েছে আল্লামা গহরপুরী (রহ.)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী। নানা শ্রেণি-পেশার ২৪১ জনের লেখায় সমৃদ্ধ হয়েছে স্মারকগ্রন্থটি। দেশের প্রথম সারির আলেমদের বড় অংশের লেখা স্থান পেয়েছে এতে।
রয়েছে এমপি-মন্ত্রী-মেয়রসহ সমাজের বিশিষ্টজনদের লেখাও। ১২টি অধ্যায়ে বিভক্ত স্মারকগ্রন্থটিতে এই বুজুর্গ আলেমের জীবনের প্রায় সব দিকই উঠে এসেছে। দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজ করার ফলে স্মারকগ্রন্থটিতে এমন প্রায় ৭০ জনের লেখা এসেছে যারা গত এক দশকে দুনিয়া থেকে চলে গেছেন।
প্রায় আটশ পৃষ্ঠার স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে আল্লামা গহরপুরী (রহ.) ফাউন্ডেশন। ঝকঝকে প্রচ্ছদে মোড়ানো বোর্ড বাঁধাই রয়েল সাইজের স্মারকগ্রন্থটির শেষ দিকে ২৪ পৃষ্ঠাজুড়ে চার রঙের প্রামাণ্য ফটো অ্যালবাম রয়েছে। সেখানে আল্লামা গহরপুরী (রহ.)-এর বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন স্থান পেয়েছে।
সিলেটের জামিয়া গহরপুর, বন্দরবাজার আল মানার লাইব্রেরি, ঢাকার বাংলাবাজারের দারুল উলুম লাইব্রেরি, বায়তুল মোকাররমের দারুত তাযকিয়া ও পরিপাটি থেকে সংগ্রহ করা যাবে স্মারকগ্রন্থটি।
এছাড়া রকমারি ডটকম থেকেও সংগ্রহ করা যাবে। গ্রন্থটির গায়ের মূল্য ১০০০ টাকা। গ্রাহকদের জন্য আছে বিশেষ কমিশন।