নতুন বই: ‘ভারতবর্ষের মাদ্রাসা’

বিবিধ, ইসলাম

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 16:09:40

ভারতবর্ষের মাদ্রাসা বা ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষার ইতিহাস অনেক পুরোনো। এই শিক্ষা মুসলমান শাসন আমলের পূর্বে একভাবে চলছে, মুসলমান শাসনকালে একভাবে চলেছে এবং শাসনের পতন হলে বা ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে আরেকভাবে চলেছে। উপনিবেশ আমলে আলিয়া এবং দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থার দু’টি স্পষ্ট ধারা তৈরি হয়ে গেছে। এর পর বিভিন্ন সময়ে শাসনের রূপ বদল ঘটলেও মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তার দু’টো ধারাতেই অব্যাহত আছে। মাদ্রাসা শিক্ষার এই দীর্ঘ ইতিহাস নিয়ে বাংলা ভাষায় ব্যাপক কোনো কাজ এখনও হয়নি। ভারতবর্ষের মাদ্রাসা গ্রন্থে এ বিষয়ে প্রাথমিক একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

ভারতবর্ষের মুসলমানদের ইতিহাস হাজার বছরের। সেই ইখতিয়ার উদ্দিন থেকে শুরু, অবশ্য তারও অনেক আগে থেকেই মুসলমানরা এই উপমহাদেশে বসতি গড়েছে। ব্যবসায়, বাণিজ্য এবং ধর্ম-কর্মও করেছে।

কিন্তু মুসলমান আমলের সেই সময়ের শিক্ষা-দীক্ষার ইতিহাস নিয়ে খুব একটা কাজ হয়নি বাংলায়। যা কিছু কাজ আছে, হয়েছে, রয়েছে, সবটাই বৃটিশ আমলের পর থেকে, দেওবন্দ মাদ্রাসা নিয়ে, নয়ত আলিয়া মাদ্রাসা নিয়ে। তার আগের মাদ্রাসা বা ধর্ম শিক্ষা বিষয়ে বাংলা ভাষায় পয়লা কাজটা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মীর হুযাইফা আল মামদূহ। লিখেছেন ‘ভারতবর্ষের মাদ্রাসা।’ লেখক একইসঙ্গে কওমি মাদ্রাসা থেকে হিফজ ও দাওরায়ে হাদিস শেষ করেছেন।

‘ভারতবর্ষের মাদ্রাসা’ নামের এই বইয়ে ভারতবর্ষের সঙ্গে ইসলামের যোগসূত্রের বয়ান দিয়ে মুসলিম শাসনের সময় থেকে এই অবধি এখানকার ধর্মীয় শিক্ষার একটা ম্যাপিং করা হয়েছে। এই সময়, সেই সময়ের শিক্ষাধারা, পদ্ধতির গুণগত মানের আলাপ করা হয়েছে। ফলে, বইটি বাংলাভাষায় ভারতবর্ষে মুসলমানদের পূর্ণ ধর্মীয় শিক্ষার আলাপ বিষয়ে প্রাথমিক এবং রেফারেন্স কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করি।

তবে কাজ হিসেবে বইয়ে মুসলমানদের শিক্ষা পদ্ধতির বেশ কিছু বিষয় হয়ত অধরাই থেকে গেছে। দেওয়া হয়নি অনেক কিছুর বিস্তারিত বিবরণ, সেসবের উল্লেখে বইটি আরও বেশি জমাট ও সুন্দর হতে পারত। লেখক তার পরের প্রকল্পে এই বিষয়ে ভাববেন, আশা রাখি।

দিব্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত বইটির মূল্য ২৫০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটি পাওয়া যাচ্ছে রকমারী, বাতিঘর ছাড়াও দেশের সব কয়টি নামী বইয়ের দোকানে। আমরা বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর