প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেই, এমন কোনো ইসলামি বই আমদানি নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলঙ্কা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা যাওয়া মুসলিমদের লাশ পোড়ানোর কারণে তীব্র সমালোচনার মধ্যেই দেশটি এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সফরের পর শ্রীলঙ্কার সরকার জোর করে লাশ পোড়ানো নীতি থেকে সরে এসেছে। এখন দেশটি করোনায় সংক্রমণে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের লাশ একটি জনবিচ্ছিন্ন দূরবর্তী দ্বীপে কবর দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
সরকারের এমন পদক্ষেপ দেশটিতে তীব্র বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছে এবং সরকার ও তামিল মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা দেশটির মুসলিমদের বিবাহ আইন বদল করেছে এবং নারীদের নেকাব পরা নিষিদ্ধ করেছে।
দেশটির সরকার মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করার জন্য অভিযুক্ত। যদিও সরকারি কর্মকর্তারা কোনো ধরণের বৈষম্যমূলক আইন প্রবর্তনের কথা অস্বীকার করেছেন।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিল শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের’ জ্যেষ্ঠ পরামর্শক এলান কিনানও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।