‘সাম্প্রতিক ঘটনা তদন্তপূর্বক শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে’

, ইসলাম

ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 06:08:48

সাম্প্রদায়িক রঙ লাগিয়ে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলতে পুজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও পরবর্তীতে সারাদেশে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একথা স্পষ্ট যে, এসব ঘটনায় ধর্মভিত্তিক কোনো দল, সংগঠন বা ধর্মপ্রাণ নাগিরক জড়িত নন। ইসলামি সংগঠনের তৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যে পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান সংকট উত্তরণের লক্ষে করণীয় নির্ধারণে উলামা-মাশায়েখ ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, কুমিল্লায় মন্দিরে পবিত্র কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে দেশে নতুন করে সংকটের শুরু। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমণ এবং রংপুরের মাঝি পল্লিতে অগ্নিসংযোগকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে একটি মহল তৎপর। এসব হামলা, অগ্নিসংযোগ কোনো ইসলামি সংগঠনের কাজ নয় বরং দেশ ও ইসলাম বিরোধী শক্তির গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

বক্তব্যে তিনি দেশবিরোধী চক্রান্ত মোকাবেলা ও চলমান সঙ্কট উত্তরণে পীর সাহেব চরমোনাই আগামী ১৭ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সেমিনার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

দলের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারি সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভি, বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকি নদভি, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, বগুড়া জামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা আবদুল হক আজাদ, ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, মুফতি ওমর ফারুক সন্ধিপী, বেফাকুল মাদারিসে দ্বীনিয়ার মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জিরি মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ খোবায়েব, সাবেক এমপি প্রফেসর ডা. আক্কাস আলী সরকার, বরিশাল মাহমুদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি ওবায়দুর রহমান মাহবুব, ইসলামি ঐক্যজোটের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, ফরায়েজি আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা আবদুর রহমান ফরায়েজি, বাংলদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি মুফতি আবদুর রহীম সাঈদ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি শ্রেণি বিক্ষোভ করে সংবিধান, ইসলাম ও মুসলমান বিরোধী স্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে। ওই শ্রেণিটি সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেওয়ার স্লোগান দিচ্ছে। তিনি সংকট নিরসনে দলমত নির্বিশেষে সকল দেশপ্রেমিক শক্তির জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।

মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি বলেন, বাংলাদেশের ওপর কালো মেঘের ঘনঘটা শুরু হয়েছে। কুমিল্লার ঘটনা একটি ষড়যন্ত্র। ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংসের চক্রান্ত স্বরূপ এটা করা হয়েছে।

মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতা পরিহার করা দরকার।

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, বাংলাদেশে ৮ ভাগ অমুসলিমদের ওপর কোনো নির্যাতন হয়নি। এ সময় তিনি কুমিল্লা ও রংপুরের ঘটনা তদন্ত করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান।

বেফাকুল মাদারিসে দ্বীনিয়ার মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সঙ্গে কুমিল্লার ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলাম কি বলে, বাস্তবে কি ঘটছে, এগুলো প্রতিটি মসজিদ থেকে বলা দরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর