শাফায়াত মানে সুপারিশ ও সাহায্য। বিভিন্ন কাজে আমরা বিভিন্ন মানুষের জন্য সুপারিশ করে থাকি। কাউকে কোনো কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কিংবা কাউকে কোনো ঝামেলা ও বিপদ থেকে মুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়ে থাকে।
সুপারিশের মাধ্যেমে অন্য মানুষের উপকার করা মূখ্য উদ্দেশ্য হয়। বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট। আমাদের আলোচ্য বিষয়ে শাফায়াত বা সুপারিশ বলতে আখেরাতের সুপারিশ বুঝানো হচ্ছে।
শাফায়াত সম্পর্কে মৌলিক কথা
আমরা বিশ্বাস করি, কুল কায়েনাত ও বিশ্বের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা হলেন- মহান আল্লাহ। তার কোনো শরিক নেই, তিনি একক। তার একার সিদ্ধান্তে সকল জগত পরিচালিত হয়। তার সমকক্ষ কেউ নেই। কারণ, তিনি ছাড়া বাকি সবকিছুই হলো তার সৃষ্টি। সৃষ্টি কখনও স্রষ্টার মতো হতে পারে না।
মানুষের মৃত্যুর পর কবর জগতে অবস্থান করবে। কবরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারলে তার কবরের সঙ্গে জান্নাতের একটা সম্পর্ক হবে; আর উত্তর দিতে না পারলে জাহান্নামের সঙ্গে সম্পর্ক হবে। পুণরুত্থান পর্যন্ত মানুষ কবরে থাকবে। কেয়ামতের ময়দানে সবাই একত্রিত হবে। সকলের হিসাব-কিতাব হবে। হিসাব-কিতাবের পর অনেকেই জান্নাতে চলে যাবে। আবার অনেকে যাবে জাহান্নামে। জাহান্নামে যারা যাবে তাদের দু’টি শ্রেণি রয়েছে। এক শ্রেণির জাহান্নামি স্থায়ী। তাদের ঈমান না থাকায় তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামি। কোনোদিন জাহান্নাম থেকে বের হবে না। আরেক শ্রেণির জাহান্নামি হলো অস্থায়ী। তাদের ঈমান ছিল তবে নেক আমল কম ছিল কিংবা গোনাহ ছিল, যে কারণে তারা জাহান্নামি হয়েছে। তারা বিভিন্ন উপায়ে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পাবে।
কেয়ামতের ময়দানে মানুষ একত্রিত হওয়ার পর ভয়াবহ অবস্থা হবে। সূর্যের তাপে মানুষের মগজ পর্যন্ত গলে যাবে। কেয়ামতের ময়দানের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে বিস্তর আলোচনা রয়েছে। এই ভয়াবহতা থেকে মুক্তির জন্য হিসাব-কিতাব শুরু হওয়া দরকার। হিসাব শুরুর জন্য মহান আল্লাহর কাছে সুপারিশ করা দরকার। কে করবে সুপারিশ? সবাই পেরেশান। সকল মানুষ মিলে হজরত আদম আলাইহিস সালামের কাছে যাবে, তাকে সুপারিশের অনুরোধ করবে। তিনি অক্ষমতা প্রকাশ করবেন। এভাবে আরও অনেক নবী-রাসুলের কাছেই যাবে। সবাই নিজেদের অক্ষমতা প্রকাশ করবে। সবশেষে হজরত ঈসা (আ.)-এর কাছে যাওয়ার পর তিনিও অক্ষমতা প্রকাশ করে বলবেন, তোমরা সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যাও। সবাই নবীজির কাছে এসে অনুরোধ করবে, যেন তিনি মহান আল্লাহর কাছে সুপারিশ করেন। নবীজি আল্লাহর আরশের নিচে সিজদায় লুটিয়ে পড়বেন। দীর্ঘক্ষণ সিজদার পর মহান আল্লাহ ডাক দিয়ে বলবেন, ‘হে মুহাম্মদ! আপনার মাথা তুলুন, আপনি সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ গৃহীত হবে; আপনি চান, আপনার চাওয়া কবুল করা হবে।’ –সহিহ বোখারি : ৩৩৪০
নবীজির সুপারিশের পর হিসাব শুরু হবে। এটাই প্রথম সুপারিশ। এই শাফায়াতকে শাফায়াতে উজমা কিংবা কুবরা অর্থাৎ সর্ববৃহৎ শাফায়াত বলা হয়। এটাই মাকামে মাহমুদ।
শাফায়াতের প্রয়োজনীয়তা
আল্লাহতায়ালা ইচ্ছা করলে মাফ করে দিতে পারেন, তাহলে আবার শাফায়াত কেন? এর উত্তর হলো- শাফায়াত মূলত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিংবা আমলের সম্মান প্রদর্শন। যাদেরকে আল্লাহ শাফায়াত করার অনুমতি দেবেন তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা, আল্লাহর কাছে রয়েছে তাদের সম্মান ও মর্যাদা। এই সম্মান ও মর্যাদার বহিঃপ্রকাশের জন্যই মূলত শাফায়াতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেসব আমলের শাফায়াত কবুল করা হবে বলে হাদিস রয়েছে, সেগুলোর সম্মান ও গুরুত্ব বুঝানো উদ্দেশ্য।
শাফায়াতের প্রকারভেদ
কোরআন ও হাদিস গবেষণা করে কাজি ইয়াজ (রহ.) বলেন শাফায়াত পাঁচ প্রকার-
১. হাশরের ময়দানে হিসাব শুরুর সুপারিশ। এই শাফায়াত নবীজির সঙ্গে খাস।
২. একদল লোককে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশেরে সুপারিশ। আর এটাও শুধু আমাদের নবীজির জন্য প্রযোজ্য। অন্য কেউ এরূপ সুপারিশের সুযোগ পাবে না।
৩. জাহান্নাম অবধারিত হয়েছে এমন একদল লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য সুপারিশ। নবী আলাইহিস সালাম ছাড়াও আল্লাহর ইচ্ছানুসারে অনেকে এই সুপারিশ করবে।
৪. জাহান্নামের শাস্তি ভোগকারী লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তির সুপারিশ। রাসুল আলাইহিস সালাম, ফেরেশতা, নেককার মুমিনসহ অনেকেই এ ধরনের সুপারিশ করবেন।
৫. জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য শাফায়াত। -হাশিয়ায়ে নববি : ১/১০৪
সবাই আল্লাহর অনুমতিতে সুপারিশ করতে পারবে
শাফায়াত মূলত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি সীমাহীন অনুগ্রহের কিয়দংশ মাত্র। শাফায়াতের একচ্ছত্র মালিক কেবল আল্লাহ। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে শাফায়াত করার অনুমতি দিবেন। তার অনুমতি ছাড়া কেউ সুপারিশ করতে পারবে না। দুনিয়ার মতো না যে, প্রভাবশালী কেউ এসে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে নিজের প্রভাব খাটিয়ে। সেখানে আল্লাহ ছাড়া কারও কোনো প্রভাব চলবে না। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তারা কি আল্লাহ ব্যতীত সুপারিশকারী গ্রহণ করেছে? বলুন, তাদের কোনো এখতিয়ার না থাকলেও এবং তারা না বুঝলেও? বলুন, সমস্ত সুপারিশ আল্লাহরই ক্ষমতাধীন, আসমান ও জমিনে তারই সাম্রাজ্য। অতঃপর তারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।’ -সুরা যুমার : ৪৩-৪৪
কারা শাফায়াত থেকে বঞ্চিত হবে?
কেয়ামত দিবসে অনুষ্ঠিত শাফায়াত থেকে বঞ্চিত হবে যারা শিরক ও কুফুরির গোনাহে লিপ্ত ছিল এবং এর ওপর মারা গেছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী, সে ব্যক্তিকে কে বাঁচাতে পারে যার ওপর আজাবের ফয়সালা হয়ে গেছ, তুমি কি তাকে বাঁচাতে পার যে জাহান্নামে রয়েছে?’ -সুরা যুমার : ১৯
বর্ণিত আয়াতের আলোকে বুঝা গেল, এসব জাহান্নামীদের জন্য কোনো শাফায়াতকারী নেই। নেই কোনো রক্ষাকারী। তাদের ব্যাপারে কোনো শাফায়াত গ্রহণ করা হবে না। কারণ, তারা ঈমানশূন্য। এ ছাড়া যারা আল্লাহর দীনের মধ্যে বিকৃতি এনেছে অথবা এর মধ্যে পরিবর্তন করেছে তাদের অবস্থাও সম্পূর্ণ আশঙ্কাজনক। কারণ, তারা হাউজে কাউসারের পানি পান করতে পারবে না। স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে এই বলে তাড়িয়ে দেবেন, ‘দূর হও, ধ্বংস হও যারা আমার পর (দীনের মধ্যে) পরিবর্তন বা রদবদল করেছ।’ –সহিহ বোখারি : ৬৫৮৪
তাই সবাইকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। আল্লাহ ও তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পুরোপুরিভাবে মেনে চলতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই আল্লাহর দীনের অপব্যাখ্যা করা যাবে না, সম্পূর্ণ অবিকৃতভাবে তা গ্রহণ করতে হবে। বস্তুত তাওহিদ হচ্ছে- মানুষের চিরমুক্তির সুনিশ্চিত সনদ আর শিরক হচ্ছে ধ্বংসের মূল। তাই তাওহিদবাদী ঈমানদার লোক মহাপাপী হলেও মুক্তি পাবে। আর মুশরিক মহাজ্ঞানী ও গুণধর হলেও অমার্জনীয় অপরাধী। এ জন্য ইসলামের নবী বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে এই শাফায়াত ইনশাআল্লাহ সে ব্যক্তি লাভ করবে, যে আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করা অবস্থায় মারা গেছে।’ -সহিহ মুসলিম : ১৯৯
কারা কারা শাফায়াত করতে পারবে?
১. আমাদের নবীজি শাফায়াত করবেন। রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফায়াতের মাধ্যমে সর্বপ্রথম কেয়ামতের ময়দানে হিসাব-কিতাব শুরু হবে। সেটা হল শাফায়াতে কুবরা। হিসাব শুরু হওয়ার আগেই নবীজির শাফায়াতে নবীজির কিছু উম্মত বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। হিসাব কিতাবের পর নবীজির অনেক উম্মত জাহান্নামি হবে, তাদেরকে শাফায়াত করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। জাহান্নামে যাওয়ার পর অনেকেই নবীজির শাফায়াতের মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের পর জান্নাতে প্রবেশ করবে। জান্নাতে যাওয়ার পর জান্নাতিদের মর্যাদা বুলন্দির জন্যও নবীজি শাফায়াত করবেন। এভাবে বিভিন্ন স্তরেই নবীজির শাফায়াতের কথা হাদিসে এসেছে।
২. আমাদের নবীজি ছাড়াও সকল নবী-রাসুল স্বীয় উম্মতের জন্য শাফায়াত করবেন।
৩. অনেক ফেরেশতাদের শাফায়াত কবুল করা হবে।
৪. নবীজির উম্মতের মধ্য থেকে নেককার ও নাবালেগ বাচ্চারা শাফায়াত করার সুযোগ পাবে। নেককারদের মাঝে আল্লাহর অলি, শহীদ, হাফেজে কোরআন ও উলামায়ে কেরামের কথা হাদিসে এসেছে।
৫. এমনকি নেক আমলও শাফায়াতের সুযোগ পাবে। যেমন সুরা বাকার ও সুরা আলে ইমরান তেলাওয়াতকারীদের জন্য শাফায়াত করবে।
৬. মহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে অনেক মুমিনকে মাফ করবেন, জাহান্নাম থেকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
নবীজিকে আল্লাহর ওয়াদা
আমার প্রভু আমার সঙ্গে অঙ্গীকার করেছেন যে, তিনি আমার উম্মতের মধ্যে সত্তর হাজার লোককে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যাদের কোনো হিসাবও নেওয়া হবে না এবং শাস্তি প্রদান করা হবে না। আর প্রতি হাজারের সঙ্গে থাকবে আরও সত্তর হাজার। আর আমার পরওয়ারদিগারের তিন মুঠি পরিমাণ।’ -সুনানে তিরমিজি : ২৪৩৭
আল্লাহতায়ালা নবীজির কাছে ওয়াদা করেছেন এবং স্বয়ং আল্লাহতায়ালাও নিজের কুদরতি মুষ্ঠি দ্বারা তিন মুষ্ঠি পরিমাণ উম্মতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন, এটাও হুকমি শাফায়াত। নবীজির সম্মানে আল্লাহতায়ালা এই পরিমাণ উম্মতকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
মুমিন কর্তৃক শাফায়াত প্রসঙ্গে
মুমিন মুসলমানগণ অন্য মুসলমানদের জন্য শাফায়াত করবেন। মুমিনদের মাঝে সাহাবায়ে কেরাম, শহীদ, অলি, হাফেজে কোরআন, উলামায়ে কেরাম এবং অপ্রাপ্তবয়স্ত সন্তান সবাই অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়ে বহু হাদিস রয়েছে।
সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার জন্য সুপারিশ
হজরত হারেস ইবন আকইয়াশ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আবু বারযা (রা.)-এর নিকট কোনো এক রাতে উপস্থিত ছিলাম, সেই রাতে তিনি নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থেকে হাদিস বর্ণনা করেন, তিনি বলেন আমি হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে দুই মুসলিমের চারটি সন্তান মারা যাবে, আল্লাহ তার দয়ার বরকতে তাদের উভয়কে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহ রাসুল! তিনজন মারা গেলে? তিনি বললেন, তিনজন মারা গেলেও (তিনি তাদের উভয়কে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন); সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহ রাসুল! দুইজন মারা গেলে? তিনি বললেন, দু’জন মারা গেলেও।’ -মুসনাদে আহমাদ : ১৭৮৫৯
মুমিনদের মাঝে শাফায়াতকারী নির্দিষ্ট না
মুমিনদের অনেকেই শাফায়াতের সুযোগ পাবে, তবে তাদেরকে নির্দিষ্ট করা যাবে না। কারণ, শাফায়াতের জন্য ঈমানের ওপর মৃত্যুবরণ করা জরুরি। আর কে ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করল তা নির্দিষ্ট করা অসম্ভব। তাই কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে ধারণা করা যাবে না যে, সে আমার জন্য শাফায়াত করতে পারবে। যেমন একজন পীর সাহেব, হাফেজে কোরআন কিংবা আলেম। আমরা সুধারণা করতে পারি যে, তিনি নেককার মানুষ, হতে পারে তারা অন্যদের জন্য শাফায়াতের সুযোপ পাবেন; কিন্তু এই সুধারণা পর্যন্তই সীমিত থাকতে হবে, কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে শাফায়াতকারী বলা যাবে না।
শাফায়াতের অপেক্ষা করা যাবে না
আমাদের উচিত ঈমান ও আমল নিয়ে কবরে যাওয়ার চেষ্টা করা। শাফায়াতের অপেক্ষা না করা। এই আশা করা যাবে না যে, আমার ছেলে হাফেজ, সে আমাকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
তবে শাফায়াত পাওয়ার জন্য যেসব আমল রয়েছে সেগুলো বেশি বেশি করতে হবে। ছেলেমেয়েকে হাফেজ, আলেম ও দীনদার বানানোর চেষ্টা করতে হবে। নাবালেগ বাচ্চা মারা গেলে সবর করতে হবে। শাফায়াতের মাঝে নবীজির শাফায়াত সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ও কার্যকর এবং সুনিশ্চিত। তাই নবীজির সুন্নাহ মোতাবেক জীবন গড়তে হবে, নবীজির ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হবে। হে আল্লাহ! তোমার নবীর শাফায়াত নসিব করো। আমিন।