এমন কিছু আমল আছে, যা দ্বারা মানেুষের গোনাহ মাফ হয়। নফল ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দান-খয়রাত ও মানবকল্যাণমূলক কাজ এসবের অন্যতম। তেমনি একটি মানবকল্যাণমূলক আমল হলো, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া। এ কাজের বিনিময়ে গোসলদাতার গোনাহগুলো আল্লাহতায়ালা ধুয়ে দেন। ইসলামে মাইয়্যেতকে গোসল দেওয়ার কাজকে অনেক ফজিলতের কাজ বলে ঘোষণা করেছে।
কোনো মুমিন-মুসলমান ইন্তেকাল করলে সুন্দরভাবে তার কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা অন্য মুসলিমদের দায়িত্ব। কেউ এগিয়ে আসবে কবর খননের জন্য, কেউ ব্যবস্থা করবে কাফনের, কেউ গোসল দেবে মাইয়্যেতকে। এভাবে সকলে মিলে তার সুন্দর কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করবে। জানাজায় অংশগ্রহণ করবে, তার জন্য মাগফেরাতের দোয়া করবে, দাফন পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে। এ সবই মুসলিমের ওপর মুসলিমের হক। এ সব আমলের ভিন্ন ভিন্ন ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদিস শরিফে। এর মধ্য থেকে মাইয়্যেতকে গোসল দেওয়ার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে।
হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে (মাইয়্যেতকে) গোসল দেবে এবং তার দোষ-ত্রুটি গোপন করবে আল্লাহ চল্লিশবার তার গোনাহ মাফ করবেন। আর যে ব্যক্তি কবর খনন করবে এবং তাকে কবরে রাখবে আল্লাহ তাকে কেয়ামত পর্যন্ত তার বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কাফনের ব্যবস্থা করবে কেয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা তাকে মিহি ও পুরু রেশমের কাপড় পরাবেন।’ -সুনানে কুবরা, বায়হাকি : ৬৬৫৫