উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খলকিহি, ওয়া রিজাকা নাফসিহি, ওয়া জিনাতা আরশিহি, ওয়া মিদাদা কালিমাতিহ।’
অর্থ : আমি আল্লাহতায়ালার পবিত্রতা ও তার প্রশংসা বর্ণনা করছি, তার সৃষ্টি সংখ্যা পরিমাণ, তার মর্জি অনুযায়ী, তার আরশের ওজন পরিমাণ এবং তার কালামের কালির পরিমাণ।
উপকার : হজরত জুওয়াইরিয়া (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাতসকালে আমার কাছ থেকে ঘরের বাইরে গেলেন এবং আমি জায়নামাজে বসে অজিফা পড়ছিলাম, তারপর চাশতের পর দিনের এক-চতুর্থাংশ চলে গেল। তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ফের ঘরে এলেন। তখনও আমি একই অবস্থায় জায়নামাজে অজিফা পড়ায় মগ্ন ছিলাম। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তা দেখে আমাকে বলেন, আমি যাওয়ার সময় তোমাকে যে অবস্থায় দেখেছি, এখনও কি তুমি সেই আগের অবস্থায় রয়ে গেছ? আমি বলেছি হ্যাঁ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর যে চারটি কলেমা পাঠ করেছি, তা যদি তোমার সকাল থেকে এই পর্যন্তের সব অজিফার বিপরীতে ওজন করা হয়, তাহলে এই চারটি কলেমার ওজন বেশি ভারী হবে। -সহিহ মুসলিম : ৬৮০৬
অন্য বর্ণনায় হাদিসে উল্লেখিত দোয়ায় কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। ‘সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহি সুবহানাল্লহি রিজা নাফসিহি সুবহানাল্লহি জিনাতা আরশিহি সুবহানাল্লহি মিদাদা কালিমাতিহি।’ অর্থাৎ আমি আল্লাহর প্রশংসার সঙ্গে পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার অসংখ্য মাখলুকের পরিমাণ, তার সন্তুষ্টির সমান, তার আরশের ওজন পরিমাণ এবং তার কালিমাসমূহের সংখ্যার সমান।’ –সহিহ মুসলিম : ৬৮০৭