মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- মহব্বত, দয়া ও আমানত রক্ষা করা। এ জন্য মুমিনকে মহব্বত ও দয়ার প্রতীক বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই সৎকর্মশীল মুমিনদের জন্য দয়াময় আল্লাহ তাদের জন্য (মানুষের অন্তরেও) মহব্বত সৃষ্টি করে দেন।’ -সূরা মরিয়ম: ৯৬
হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘মুমিন মহব্বত ও দয়ার প্রতীক। ওই ব্যক্তির মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই, যে কারো সঙ্গে মহব্বত রাখে না এবং মহব্বতপ্রাপ্ত হয় না।’ -মুসনাদে আহমাদ
অবশ্যই এই মহব্বত ও ভালোবাসা হবে নিতান্তই আল্লাহতায়ালার জন্য। অন্য এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘ওই ব্যক্তি তার ঈমানকে দৃঢ় করল যে কাউকে ভালোবাসল আল্লাহর জন্য, কাউকে ঘৃণা করল আল্লাহর জন্য, কাউকে কোনো কিছু দিল আল্লাহর জন্য আর কাউকে কোনো কিছু দেওয়া হতে বিরত থাকল কেবল আল্লাহর জন্য।’ –সুনানে তিরমিজি
সূরা আনফালের ২৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ, তার রাসূল ও তোমাদের ওপর ন্যস্ত আমানতের খেয়ানত করো না। অথচ তোমরা এর গুরুত্ব জান।’
আসলে মুমিন চরিত্রে খেয়ানতের কোনো স্থান নেই, তিনি বরাবরই রক্ষক হবেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমার মধ্যে চারটি জিনিস থাকে তবে পার্থিব কোনো জিনিস হাত ছাড়া হয়ে গেলেও তোমার ক্ষতি হবে না। ১. আমানতের হেফাজত, ২. সত্য ভাষণ, ৩. উত্তম চরিত্র ও ৪. পবিত্র রিজিক।’ –আহমাদ
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি নবী করিম (সা.) হতে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি তোমার নিকট আমানত রেখেছে তার আমানত তাকে ফেরত দাও, যে ব্যক্তি তোমার আমানত আত্মসাত করে তুমি তার আমানত আত্মসাত করো না।’ –তিরমিজি ও আবু দাউদ
ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো সে আমানতের রক্ষণাবেক্ষণকারী। মুমিন কখনও খেয়ানতকারী হতে পারে না। এটা মুমিনের চরিত্রের বিপরীত কাজ। আল্লাহতায়ালা সবাইকে সফল মুমিন হওয়ার তওফিক দান করুন। আমিন।