টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে শনিবার বাদ আছর শতাধিক যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল এই বিয়ে।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মাওলানা জহির ইবনে মুসলিম একথা জানিয়েছেন।
ময়দানের পশ্চিম-উত্তর দিকে দোয়া মঞ্চ থেকে এ বিয়ে পড়ান ভারতের মাওলানা মো. জোহায়রুল হাসান। হজরত ফাতেমা (রা.) ও হজরত আলী (রা.) বিয়ের দেনমোহর অনুসারে বিনা যৌতুকে মোহরে ফাতেমি প্রদানের মাধ্যমে শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের আগে বাদ আসর হাফেজ মাওলানা জোবায়ের বিয়ের খুতবা প্রদান করেন। বয়ান শেষে বর-কনের অভিভাবকদের সম্মতিতে বরের উপস্থিতিতে এ বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ে শেষে উপস্থিত দম্পতিদের স্বজন ও মুসল্লিদের মধ্যে খুরমা বিতরণ করা হয়।
এদিকে প্রচন্ড শীত ও বার্ধক্যজনিত কারণে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে সাত মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত বার্ধক্যজনিত ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম একথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুর থানার হেমুবুটে গ্রামের মো. নূরুল হক (৬৩) শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। একই সময়ে গাজীপুর মহানগরীর ভুরুলিয়া এলাকার আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব (৯০) বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
শুক্রবার ভোরে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাজি মোহাম্মদ হাবিবউল্ল্যাহ হবি (৬৮)। সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার মধ্য কামার গ্রামের আক্কাস আলী সিকদার (৫০)। এছাড়া রাত আড়াইটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন খুলনার ডুমুরিয়া থানার মলমলিয়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন খান (৭০)। বার্ধক্যজনিত কারণে শনিবার ভোর ৫টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন নরসিংদীর মনোহরদী থানার মাছিমপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি (৭০)। এরপর সকাল সাড়ে ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম সদর থানার রাওজান এলাকার আব্দুল রাজ্জাক (৭০)।
ওসি আশরাফুল বলেন, ইজতেমা ময়দানে তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে তাদের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবারও তুরাগ তীরে মুসল্লিদের ঢল অব্যাহত রয়েছে।