চলতি বছর হজে যেতে আগ্রহী সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনের জন্য মেসেজ পেয়েছেন—এমন সবাই হজের নিবন্ধন করতে পারবেন।
২০২৩ সালের হজযাত্রী, হজ এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্ট সবার উদ্দেশে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সৌদি সরকার এ বছর হজযাত্রীদের ভিসার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভিসা পদ্ধতি, ফিঙ্গার প্রিন্ট অ্যান্ড পিকটোরিয়াল চালু করতে যাচ্ছে। এ পদ্ধতির অধীনে ভিসার আবেদন সাবমিট করতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। নতুন এ পদ্ধতিতে ভিসা করার জন্য পাসপোর্ট আপাতত নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে।
তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করে যারা ইতিমধ্যে আশকোনায় হজ অফিসে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন, ভিসা কার্যক্রম শুরু হলে তারা সেখানে গিয়ে বায়োমেট্রিক ভিসার আবেদন করতে পারবেন, অথবা সেখান থেকে পাসপোর্ট নিয়ে অন্য কোনও সেন্টার থেকেও ভিসার আবেদন করতে পারবেন। ভিসা কার্যক্রম শুরু হলে ভিসা সাবমিটের সেন্টার এবং পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।