তাবলিগের চলমান সংকট সমাধানে আল্লামা শফি আলেমদের সম্মেলন থেকে ৫ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় হাটহাজারী মাদরাসার সেমিনার হলে তাবলিগ জামাতের চলমান সংকট ও টঙ্গি ইজতেমার মাঠে দিল্লির মাওলানা সাদপন্থীদের হামলার বিচারসহ করণীয় নির্ধারণে উলামা সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সম্মেলন থেকে টঙ্গিতে হামলাকারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। প্রতিনিধি সম্মেলনে তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বিরাও উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফি সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে তাবলিগের চলমান সংকট নিরসনে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. টঙ্গির ইজতেমার মাঠে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
২. ওয়াসিফুল ইসলাম, খান শাহাবুদ্দিন নাসিম ও মাওলানা আবদুল্লাহসহ হামলার ইন্ধনদাতাদের কাকরাইল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।
৩. তাবলিগে উলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব গ্রহণ করা, মাওলানা সাদের বিভ্রান্তিসমূহ ও এ বিষয়ে একটি ফতোয়া তৈরি করে সারাদেশে প্রচার করা। বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য ৬-১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা।
৪. তাবলিগের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১৫-১৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা। তাতে দেশের শীর্ষ আলেম ও তাবলিগি মুরুব্বিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
৫. যথাসময়ে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পূর্ব নির্ধারিত তারিখের কাছাকাছি সময়ে অন্যকোনো তারিখও নির্ধারণ করা যেতে পারে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মজলিসে আমেলা (নির্বাহী কমিটি), মজলিসে খাস, কওমি মাদরাসাসমূহের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর ইজতেমার মাঠে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির কাজে থাকা তাবলিগের সাথী ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা চালায় সাদপন্থীরা। এতে ১ জন নিহতসহ আহত হয় সহস্রাধিক। আহতদের বেশিরভাগই মাদরাসার শিক্ষার্থী।