সুইজারল্যান্ডের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মুসলিম নারীদের বোরকা পরাসহ মুখ ঢেকে রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা পাস করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। আইনটি ইতিমধ্যে ডানপন্থী পপুলিস্ট সুইস পিপলস পার্টির দখলে থাকা উচ্চ কক্ষে অনুমোদন পেয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনটি ১৫১-২৯ পাশ হয়েছে। বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপটি দুই বছর আগে দেশটিতে হওয়া গণভোটের ফল। যেখানে সুইস ভোটারদের ৫১ শতাংশ নেকাব, বোরকা, সেই সঙ্গে কিছু প্রতিবাদকারীদের পরার স্কি মাস্ক ও ব্যান্ডানার ওপর নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছিলেন।
নিম্ন কক্ষের অনুমোদনের ফলে নিষেধাজ্ঞাটি এখন ফেডারেল আইনে পরিণত হয়েছে, যা লঙ্ঘন করলে ১ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক (প্রায় ১ হাজার ১০০ ডলার) জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
গণভোটের সময় মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ করার প্রচারণার সমালোচনা করেছিল মুসলিমরা। মুসলিম নারীদের সংগঠন পার্পল হেডস্কার্ফের মুখপাত্র ইনেস এল-শিখ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডে বোরকা পরা মাত্র ৩০ জন নারী রয়েছেন।’
সুইজারল্যান্ডের ইসলামিক সেন্ট্রাল কাউন্সিল বলছে, ভোটে সারা দেশে মুসলিম বিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে পড়ার বার্তাই প্রতিফলিত হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাটিতে বলা হয়েছে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, পাবলিক স্পেস ও জনসাধারণের প্রবেশযোগ্য ব্যক্তিগত ভবনে নাক, মুখ ও চোখ ঢেকে রাখা যাবে না। যদিও সুইজারল্যান্ডে বোরকা পুরো মুখ ঢেকে সাধারণত পরা হয় না।
এর আগে বেলজিয়াম ও ফ্রান্স অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সুইজারল্যান্ডে বোরকা নিষেধাজ্ঞায় মুসলিমরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এমনকি বিতর্কিত এই বিলটি নিয়ে সংশয় ও আপত্তি রয়েছে মধ্যপন্থী ও বাম দলগুলোরও।