মুচকি হাসিও ইবাদত

, ইসলাম

সাকী মাহবুব, অতিথি লেখক, ইসলাম | 2023-12-04 16:28:55

হাসি সৌন্দর্যের প্রতীক। হাসিমুখে কথা বললে শত্রুও বরফের মতো গলে যায়। একে অপরের থেকে দূর হয়ে যায় হিংসা ও বিভেদের চওড়া দেয়াল। হৃদয় থেকে দূর হয় অহংকার ও আত্নগরিমা। হাসির মাধ্যমে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়। একটুখানি মুচকি হাসি দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে দিতে যোগ করতে পারে নতুন মাত্রা। তাছাড়া এভাবে কথা বলা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। তাই পরিচিত-অপরিচিত সবার সঙ্গে সদা হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা উত্তম।

একজন মুসলিম হিসেবে অন্য ভাইয়ের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ কেমন হওয়া উচিৎ, তা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শিখিয়ে গেছেন। পাশাপাশি অপর ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

এক হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজ সদকা। আর গুরুত্বপূর্ণ একটি ভালো কাজ হলো- অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা।’ -জামে তিরমিজি

আরেক হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেছেন, তোমার ভাইয়ের মুখে (সাক্ষাতে) মুচকি হাসি নিয়ে আসাও একটি সদকা। হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমার হাসোজ্জ্বল মুখ তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার সৎকাজের আদেশ এবং তোমার অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ তোমার জন্য সদকাস্বরুপ। পথহারা লোককে পথের সন্ধান দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরুপ। স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন লোককে সঠিক দৃষ্টি দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরুপ। পথ থেকে পাথর, কাঁটা ও হাড় সরানো তোমার জন্য সদকাস্বরুপ। তোমার বালতি দিয়ে পানি তুলে তোমার ভাইয়ের বালতিতে ঢেলে দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরুপ। -জামে তিরমিজি

কারও সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করলে সে খুশি হয়। মুখ গোমড়া করে রাখালে মনে সন্দেহের দানা বাঁধে। তাই সাক্ষাতে হাসিমুখে কথা বলা ও আনন্দ দেওয়ার বিষয়টি আল্লাহতায়ালা পছন্দ করেন। নবী কারিম (সা.) সবসময় মুচকি হাসতেন। মুচকি হাসি ছিল তার চিরাচরিত ভূষণ। সুতরাং আমরা কথা ও কাজে সবসময় মুচকি হেসে কথা বলব। তাহলে আমাদের পরস্পরে সৃষ্টি হবে ভালোবাসা ও সম্প্রীতির অমোঘ বন্ধন। সেই সঙ্গে পালন করা হবে রাসুলের সুন্নত। আল্লাহতায়ালা আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর