অনেক কাজ আছে যেগুলো মানুষের দৃষ্টিতে খুব সামান্য ও ছোট। মনে হতে পারে কাজটি অতি হালকা। প্রকৃতপক্ষে পরকালে আমলের বাটখারায় সেগুলোও মাপা হবে এবং প্রতিদান দেওয়া হবে।
ধরুন, আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন পথিমধ্যে একটা ক্ষতিকর বস্তু দেখে সেটা আপনি সরিয়ে ফেললেন, যাতে কোনো পথচারীর কষ্ট না হয়। আপনি যে একজন মুমিন তার প্রমাণ হলো- রাস্তা থেকে এই ক্ষতিকর বস্তু সরিয়ে ফেলা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঈমানের দরজা (স্তর) হলো- সত্তরের অধিক। তার সর্বনিম্ন স্তর হলো- রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করা এবং সর্বোচ্চ স্তর হলো- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা। -রিয়াদুস সালেহিন : ৬৮৮
যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি জানেন- মানুষের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলাও একটা সদকা কিংবা দান? হতে পারে বিষয়টি অনেকেই জানেন, আবার অনেকের কাছে একেবারে নতুন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেন, ভালো কথা বলাও সদকা। -রিয়াদুস সালেহিন : ৬৯৯
ধরুন পথিমধ্যে কিংবা যানবাহনে অথবা বাসায় আপনার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো। আপনি মুখে সামান্য হাসির রেখা টেনে তার সঙ্গে দুটো কথা বললেন, তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করলেন। এতেও আপনি সওয়াবের ভাগিদার হবেন। যার নিশ্চয়তা হাদিসে পাওয়া যায়।
হজরত আবু যার (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, ‘তুমি কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তুমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে পারো।’ অর্থাৎ মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও একটি ভালো কাজ। -রিয়াদুস সালেহিন : ৭০০
এমন অসংখ্য ভালো কাজ আছে, যেগুলো মানুষের দৃষ্টিতে ছোট; তবে আল্লাহর নিকট অতি পছন্দনীয় ও গৃহীত। তাই ভালো কোনো কাজকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছোট থেকে ছোট যেকোনো কাজ নির্দ্বিধায় করে ফেলা। হোক সেটা মানুষের দৃষ্টিতে ছোট বা হালকা।