কনকনে শীত উপেক্ষা করে গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দান প্রস্তুতির কাজ করে যাচ্ছেন মুসল্লিরা। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে তারা দলে দলে আসছেন। ময়দানের বিভিন্ন কাজে স্বেচ্ছায় সময় দিচ্ছেন।
আগত মুসল্লিরা ময়দানে সামিয়ানা তৈরি, চট বাঁধাই, খুঁটি গাথা, মাটি কাটা, ময়লা-আর্বজনা ও ড্রেন পরিষ্কার, বিদেশিদের কামরা নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ করছেন। দ্বীনের মেহনত ও আল্লাহকে রাজি-খুশি করতেই তারা শ্রম দিচ্ছেন।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ইজতেমার মাঠে কাজ করছিলেন, ঢাকার জুরাইন থেকে আগত তাবলিগ জামাতের সদস্যরা। কাজ করা এক সাথী বলেন, ‘আল্লাহ রাস্তার কাজ করতে এসে যত মেহনত হবে, ততই সওয়াব হবে। আল্লাহকে পেতে চাইলে একটু কষ্ট করতেই হবে। আর আল্লাহর জন্য কষ্ট করলে, আল্লাহতায়ালা রাজি খুশি হয়ে যাবেন। এই কষ্টের ফল আখেরাতে পাওয়া যাবে।’
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে শুরায়ি নেজামের তত্ত্বাবধানে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমা।
এর ৪ দিন পর শুরু হবে মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা। ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এই ইজতেমা।
ইজতেমার ময়দান প্রস্তুত করতে প্রতিদিনই ঢাকা ও এর আশেপাশের সাধারণ মুসল্লি ও তাবলিগের সাথীরা নিয়মিত মাঠে এসে নানা কাজ করছেন। বিশেষ করে শুক্রবারে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া ও গাজীপুর থেকে অনেক সাথী ময়দানে এসে কাজ করছেন।
মাঠের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, আগত মুসল্লিদের সেবায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ময়দানের চারপাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করে টয়েলেট ও গোসল করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিবারের ন্যায় এবারও ইজতেমা সফল করতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ, র্যাব ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। আমি নিজে প্রতিদিন ময়দানের খোঁজখবর রাখছি। আশা করি, সুষ্ঠুভাবে ইজতেমার কাজ সম্পন্ন হবে।