রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববিতে লাখ লাখ মানুষ ইফতার করেন। ইসলামের দ্বিতীয় সম্মানিত এই স্থানে প্রতিদিন দুই লাখ ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়। মসজিদের এক লাখ মিটারের বেশি দীর্ঘ স্থানজুড়ে এসব খাবার দেওয়া হয়। ইফতারের অংশ হিসেবে সবার জন্য ১০ লাখের বেশি খেজুর বরাদ্দ থাকে। এর মধ্যে জনপ্রতি তিন থেকে পাঁচটি খেজুর পেয়ে থাকে।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-ওয়াতান সূত্রে গালফ নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
মসজিদে নববির তত্ত্বাবধানকারী সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংস্থা জেনারেল অথরিটির তত্ত্বাবধানে পবিত্র এই মসজিদে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ইফতারির আয়োজন করা হয়। মসজিদ প্রাঙ্গণে মাগরিবের নামাজের আগমুহূর্তে মাত্র এক মিনিটে এসব খাবারের দস্তরখান বিছানো হয়।
এদিকে উমরা পালন করতে পবিত্র মসজিদে হারামে অবস্থান করছেন লাখ লাখ মুসল্লি। উমরা পালনের অংশ হিসেবে সাফা ও মারওয়া অতিক্রম করতে হয়। রমজানের এই মৌসুমে প্রতি ঘণ্টায় স্থানটি এক লাখ ১৮ হাজার উমরাহকারী অতিক্রম করছে। হজ ও উমরার কার্যক্রমের মধ্যে সাফা ও মারওয়া প্রদক্ষিণ করা অন্যতম।
প্রায় ২.৭ কিমি আয়তনের এ স্থানকে আরবিতে ‘মাসআ’ বলা হয়। ৩৯৪ মিটার দীর্ঘ ও ৪০ মিটার চওড়া স্থানটি সাতবার প্রদক্ষিণ করতে হয়। মূলত হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর স্ত্রী হজরত হাজেরা (আ.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে সাঈ করা হয়। ক্ষুধার্ত শিশুসন্তান হজরত ইসমাইল (আ.)-এর তৃষ্ণা নিবারণে পানির সন্ধানে মা হাজেরা (আ.) স্থানটি সাতবার দৌড়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে এক কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মুসলিম উমরা পালন করেছেন, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
আগামী হজ মৌসুম শুরুর আগেই দুই কোটির বেশি মুসল্লি উমরা পালন করবে বলে আশা করছে সৌদি আরব। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৪ জুন পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু হবে।