আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দার প্রতি অধিক দয়ালু। যে কারণে তিনি পবিত্র রমজানে এমন একটি রাত রেখেছেন, যাকে লাইলাতুল কদর বলা হয়। এ রাতটিকে পাওয়ার জন্যই ইতিকাফের বিধান দেওয়া হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি যদি রমজানে লাইলাতুল কদরে ইবাদত-বন্দেগির সওয়াব পেতে চায়, আল্লাহর রহমতের চাদরে নিজেকে আবৃত করে রাখতে চায়, তা তার জন্য তা হাসিলের সহজ উপায় রয়েছে। বস্তুত প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানই চায় লাইলাতুল কদরের সওয়াব হাসিল করতে, কিন্তু কীভাবে তা মিলবে? এটা লাভের জন্য একটি সুক্ষ্ম বিষয় শুনে নিন।
কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘এটা এমন এক রাত, যা হাজার মাসের ইবাদত থেকে উত্তম।’ এর পরে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘শবেকদর হলো- এক হাজরের মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ ও রুহ অবতীর্ণ হয় তার পালনকর্তার নির্দেশে।’ -সুরা কদর
এ রাতে সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহতায়ালার পক্ষ হতে রহমত, বরকত আর শান্তি বর্ষিত হয়। এই বরকত কখন নাজিল হয়? তা কারও জানা নেই। কেউই বলতে পারে না যে, নির্দিষ্ট কোন রাতে ওই বরকতসমূহ নাজিল হয়। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘উহা এমন এক শান্তি, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’ -সুরা কদর : ৫
বর্ণিত আয়াত থেকে একটি সূক্ষ্ম বিষয়টি পাওয়া গেলো, যেদিন লাইলাতুল কদর শুরু হবে এবং তার বিশেষ বরকত ও রহমত নাজিল হবে সেদিন সুবহে সাদেক পর্যন্ত অবশ্যই তা বাকি থাকবে। সুতরাং আমরা যারা দুর্বল বান্দা রয়েছি, যারা সারারাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারি না, কিন্তু শেষ রাতে সেহরির জন্য উঠব; তখন যদি তাহাজ্জুদ বা কিছু নফল নামাজ আদায় করি, ছোট সুরাগুলো তেলাওয়াত করি, অল্প কিছু তসবিহ পাঠ করি, সামান্য সময় জিকির-আজকার করি- তাহলে অবশ্যই লাইলাতুল কদরে ইবাদতের সওয়াব পেয়ে যাবো- ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ রাব্বুল সবাইকে আজকের রাতসহ রমজান মাসের বাকি দিনগুলোতে আমাদের বেশি বেশি ইবাদত করার তওফিক দান করুন। পবিত্র রমজান মাসকে আমাদের জন্য রহমত বানিয়ে পেরেশানিগুলোকে দূর করে দিন। আমিন।