হজ মৌসুমে পবিত্র কোরআন হেফজের (মুখস্থের) জন্য বিশেষভাবে ১ হাজারটি সেশন চালুর অনুমোদনসহ আসন্ন হজের কার্য পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) মসজিদে হারাম ও নববির পরিচালনা বিষয়ক প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস নতুন পরিকল্পনায় ঘোষণাকালে বলেন, সমন্বিত ব্যবস্থায় সর্বোচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ভিশন ২০৩০-এর সঙ্গে মিল রেখে অতীতের সাফল্য ও অভিজ্ঞতার আলোকে সৌদি সরকারের ২০২৪ সালের কৌশলগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবারের কার্য পরিকল্পনাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়, মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেনারেল প্রেসিডেন্সির আওতায় বিভিন্ন ভাষায় হজযাত্রীদের অনুবাদ সেবা দেওয়া হবে। তা ছাড়া মসজিদে থাকবে পবিত্র কোরআন পাঠ, মুখস্থ ও শিক্ষা বিষয়ক নানা প্রোগ্রাম।
এসব প্রোগ্রামের মধ্যে কোরআন পাঠ ও হেফজের বিষয়টি অন্যতম। আসন্ন হজ মৌসুমে সৌদি আরব ১ হাজারটি কোরআন হেফজের সেশন পরিচালনা করবে। যোগ্য-অভিজ্ঞ শিক্ষকরা হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেবেন। কোরআন মুখস্থের অভিজ্ঞতা হজযাত্রীদের নানাভাবে উপকৃত করবে, এটা তাদের আত্মনিবেদনে বিশাল ভূমিকা রাখবে। উদ্যোগটি বিশ্বব্যাপী কোরআনের নৈতিকতা এবং এর মধ্যপন্থী বার্তা প্রচারের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ।
শায়খ আস-সুদাইস বলেন, এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো- কোরআন মাজিদের শিক্ষার পরিধি বিস্তৃত করা। পরিকল্পনা মতে, মসজিদে হারাম ও নববিতে যে কেউ যেকোনো সময় যেকোনো পরিমাণ কোরআন মুখস্থ করে সেখানে অবস্থানরত শিক্ষককে শুনাতে পারবেন।
পরিকল্পনা ঘোষণাকালে মসজিদে হারামের প্রধান ইমাম আরও বলেন, ১৬ হাজার কর্মীর পাশাপাশি এবার জেনারেল প্রেসিডেন্সির আওতায় হজের মৌসুমে ১০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। তারা পবিত্র দুই মসজিদের ১০টি ক্ষেত্রে দুই লাখের বেশি কর্মঘণ্টা সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
এ ছাড়া মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে তিন লাখের বেশি কোরআনের কপি, দুই মসজিদের ৩০ হাজার পয়েন্টে হজের সময় প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ বোতলে ৪০ মিলিয়ন লিটার জমজম পানি বিতরণ করা হবে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও সেবা দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, অ্যাপ ও রোবট ব্যবহৃত হবে।