১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি টঙ্গী মাঠে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে এক সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন করবো আপনারা জেনে খুশি হবেন বাংলাদেশে তাবলীগ জামায়াত নিয়ে এখন আর কোন দিধাদ্বন্দ্ব নেই। গোলমাল অভিযোগ নেই, কোনো রকম বিশৃঙ্খলা নেই। আমরা এদেশে শাস্তিপূর্ণভাবে সুশঙ্খলভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রেখে বিশ্ব ইজতেমা অতীতের মতো সুন্দরভাবে করার প্রয়াস নিয়েছি।
তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে তাবলীগের দুই গ্রুপের সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের স্বত:স্ফূত সম্মতিতে একসঙ্গে করার বিষয়ে ইজতেমা করার সফল সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পেরেছি। সেই সঙ্গে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।
শেখ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি এভাবে ঐকান্তিক আগ্রহ প্রকাশ না করতেন তাহলে এবং তার পক্ষ থেকে ভাল পদক্ষেপ না নিতেন এই কাজটি সম্ভব হতো না।
এর আগে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ চূড়ান্ত করতে বিবাদে জড়িয়ে যাওয়া তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির পক্ষ ও বিপক্ষ দু’গ্রুপকে নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আগে থেকে এ দু’পক্ষ কোনোভাবেই একসঙ্গে ইজতেমা করার পক্ষে ছিল না। এ নিয়ে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়।
এর আগে বুধবারও (২৩ জানুয়ারি) এ বিষয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকে ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, পুলিশ প্রধান, র্যাব প্রধান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধান ও তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের নেতারা।
এতে দুই গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন প্রকৌশলী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম এবং আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন মাওলানা জুবায়ের। সে সময় দু’পক্ষের সবাই উপস্থিত ছিলেন। খোলামেলা আলাপ হয়েছে। আলাপের পর সিদ্ধান্ত হয় আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের যেকোনো সময় টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমা হবে। দু’পক্ষই একত্রে এই ইজতেমা করবে। আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ওমর ফারুক ও খান শাহাবুদ্দিন নাসিম।