পবিত্র হজ শেষে হাজিদের অনেকেই মদিনা সফর করছেন। মদিনায় ঐতিহাসিক জায়গাগুলো ঘুরে দেখার পাশাপাশি তারা দেখছেন আল সাফিয়া জাদুঘর ও পার্ক।
মদিনায় অবস্থিত আল সাফিয়া জাদুঘর ও পার্কটি ইতিহাস সন্ধানী দর্শনার্থীদের মনোযোগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জাদুঘরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ এবং দর্শনার্থীদের জন্য শিক্ষা ও বিনোদনমূলক নানা কার্যক্রম দেখতে অনেকেই ছুটে আসেন মদিনায়।
পবিত্র নগরীর ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জাদুঘরটি স্থাপত্য নকশা করা হয়েছে। রয়েছে একটি বড়সড় প্রদর্শনী হল, আকর্ষণীয় ফোয়ারা, সাংস্কৃতিক উদ্যান, কৃত্রিম জলপথ, শপিং সেন্টার, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক ব্যবস্থা। জাদুঘরটি ৪ হাজার ৪০০ বর্গমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে নির্মিত ভবনে মদিনার মসজিদে নববির দক্ষিণে অবস্থিত।
জাদুঘরের বিভিন্ন পয়েন্টে সাউন্ড সিস্টেমসহ বড় পর্দা বসানো হয়েছে দর্শনার্থীদের আনন্দের জন্য। সারা বিশ্ব থেকে আসা দর্শনার্থীরা মদিনায় অবস্থানকালে আল সাফিয়া জাদুঘর পরিদর্শন করে জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।
এই জাদুঘরের বিশেষত্ব হলো- মহাবিশ্বের সূচনাসহ সৃষ্টিজগতের ওপর বহু ভাষার ডকুমেন্টারি। এ ছাড়া রয়েছে নবী-রাসুলদের গল্প। মহাবিশ্বের সূচনা সম্পর্কে একাধিক ভাষার প্রতিবেদন। বিস্তৃত ডিসপ্লেতে উপস্থাপিত এসব ডকুমেন্টারি আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানকার প্রদর্শনীতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
মদিনা অঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় স্থাপিত প্রকল্পটি দর্শনার্থীদের জন্য ধর্মীয় ঐতিহ্যের জ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আগ্রহ বাড়ায়।
চলতি বছরের মার্চ মাসে জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন মদিনার গভর্নর এবং মদিনা অঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এমডিএ) চেয়ারম্যান প্রিন্স সালমান বিন সুলতান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী তওফিক আল-রাবিয়া, মদিনার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সৌদ বিন খালিদ আল-ফয়সাল।
জাদুঘর উদ্বোধনকালে মদিনার গভর্নর বলেন, আল-সাফিয়া জাদুঘর সভ্যতা ও জ্ঞানের একটি নতুন উৎস এবং মদিনার ইতিহাসে একটি স্বতন্ত্র চিহ্নের প্রতিনিধিত্ব করে। এটা দর্শনার্থীদের ধর্মীয় অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ ও গভীর করতে বিশাল ভূমিকা রাখবে।