পবিত্র হজ ও উমরা পালন শেষে অনেক মানুষ তায়েফ ভ্রমণে যান। তায়েফ যাওয়ার পথে আঁকাবাঁকা রিংরোডের স্থানে স্থানে প্রচুর মানুষ গাড়ি থেকে নেমে পাহাড়ি বানর ও বেবুনকে খাবার খাওয়ান। বানরের দল নির্বিঘ্নে মানুষের হাত থেকে খাবার নিয়ে চলে যায়। পাহাড়ি রাস্তার পাশে স্থাপিত রেলিংয়ে সারিবদ্ধভাবে বসে থাকে। এটা অনেকটা পরিচিত দৃশ্য।
কিন্তু এখন থেকে তায়েফসহ সৌদি আরবের কোনো স্থানে বানর ও বেবুনকে আর খাবার দেওয়া যাবে না। ক্রমবর্ধমান বানর ও বেবুনের বংশবৃদ্ধির ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে সৌদি আরব নতুন আইন চালু করেছে। এই আইনের আওতায় বানর ও বেবুনকে খাবার দিলে ৫০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ (NCW)।
বেবুন ও বানরদের খাওয়ানো পরিবেশ সুরক্ষা আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে সংস্থাটি জনগণকে সতর্ক করেছে যে, তায়েফ এবং অন্যান্য স্থানে পাওয়া বিভিন্ন বন্যপ্রাণী বিশেষ করে সেখানে প্রচুর বেবুন (বানরের প্রজাতি) রয়েছে, তাদেরকে কোনোভাবেই খাবার দেওয়া যাবে না। স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিকভাবে খাবার পাওয়া বানরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বেবুনদের খাবার দেওয়া তাদের প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, যা তাদের জন্য শুধু ক্ষতিকরই নয়; তারা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে অভ্যস্ত হওয়ার পর আরও খাবার পেতে শহরাঞ্চলে যায়। অনেক সময় খাবারের জন্য মরিয়া হয়ে মানুষের ওপর হামলা করে বসে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ আরও জানিয়েছে, বানরদের খাবার দেওয়া তাদের প্রাকৃতিক খাদ্যের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাই তাদের প্রাকৃতিকভাবে খাবার পেতে দেওয়া উচিত।
সৌদি আরবের তায়েফ যাওয়ার পথে রিংরোডে প্রচুর কেশরধারী বানর ও বেবুনের দেখা মেলে। সেখানে সাইনবোর্ডে লেখা আছে, ‘সতর্ক হোন! তাদের খাওয়ালে তাদের প্রজনন বৃদ্ধি পাবে।’
সংস্থাটি অবশ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে মক্কা, মদিনা, আল-বাহা, আসির, জাজান এবং নাজরান এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।